শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) মানদণ্ডে বিশ্বমানের ক্রিকেট মাঠ তৈরি করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ খেলার মাঠ প্রস্তুতকরণের কাজ শেষ হয়েছে।
সপ্তাহখানেকের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা মাঠটিতে খেলতে পারবেন। মাঠটিতে আগামী মার্চ মাসে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট গড়ানোর কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই মাঠের ব্যাসার্ধ ৭০ থেকে ৮০ মিটারের মধ্যে রাখা হয়েছে। যদিও পুরো মাঠের আয়তন আরও বেশি। পিচ করা হয়েছে সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামগুলোর পিচে যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, এখানেও তাই করা হয়েছে।
নকশা অনুযায়ী মাঠটির দৈর্ঘ্য ৫০০ ফুট, প্রস্থ ৪০০ ফুট। চারপাশে রয়েছে ঘাসে মোড়ানো দর্শক গ্যালারি। এর মধ্যে দক্ষিণ পাশে গ্যালারিতে থাকছে খেলোয়াড়দের বসার স্থান ও অন্যান্য অনুষঙ্গ।
অন্যদিকে, মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম কর্নারে প্রস্তুত হচ্ছে টেনিস, বাস্কেট বল, ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য পৃথক কোর্ট। দিনের পাশাপাশি রাতে খেলার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে মাঠটিতে। এজন্য থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা।
গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের ‘গ্রিন’ শব্দের সার্থকতা খুঁজতে পুরো মাঠের চারপাশ সাজানো হয়েছে সিজিয়াম, ফাইয়াজ বেনজামিন, পাম গাছ এবং মিনি টগরসহ দেশি-বিদেশি নানা গাছ দিয়ে।
মাঠ দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিকেএসপি কিউরেটর ও সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে মাঠটি তৈরি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এর পরিধি, সৌন্দর্য ও অন্যান্য সুবিধাও বাড়ানো হবে। রূপ দেয়া হবে মিনি স্টেডিয়ামে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক মো. শহীদ উল্লাহ জানান, গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই খেলাধুলাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এখানকার শিক্ষার্থীরা শুধু একাডেমিক ক্ষেত্রে নয়, খেলাধুলাসহ নানামুখী সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে ইতোমধ্যেই সাফল্য এনেছে। এর মধ্যে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরবও রয়েছে। সদ্য প্রস্তুত হওয়া মাঠ সেই কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে।
তিনি বলেন, ‘সহশিক্ষা কার্যক্রম জোরদারকরণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১৭টি ক্লাব গড়ে তোলা হয়েছে। যার মাধ্যমে ক্রিকেট ও ফুটবল তো বটেই; সাংস্কৃতিক চর্চা, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ নানা ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে।’