ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে ‘আত্মরক্ষায়’
কিশোরীর ছুরিকাঘাতে ধর্ষকের মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার রাতে ভারতের তামিল নাডুর তিরুভল্লুর জেলার শোলাভরামে এ ঘটনা ঘটার পর ধর্ষণ থেকে বাঁচতে ‘আত্মরক্ষায়’ হত্যা করা যাবে কী না সে বিষয়ে আইনি মতামত চাওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে এমন ঘটনায় সারভাইভর নারীকে গ্রেপ্তার করা যায় না।
সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী পুলিশ অফিসার টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, ওইদিন রাত ৮ টার দিকে কিশোরী একটি নির্জন রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছিল। কিশোরী মেয়েটি সেখানে ঝোঁপে লুকিয়ে থাকা মদ্যপ অজিত কুমারকে দেখতে পায়নি। মদ্যপ অজিত কুমার তাকে আরও আগে থেকেই অনুসরণ করছিল। কিশোরী মেয়েটি কিছু বুঝে উঠার আগেই মেয়েটির ঘাড়ে ছুরি রেখে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে চাইছিল অজিত কুমার।
কিশোরী মেয়েটি খুব আতংকিত হয়ে পড়েছিল। অজিত যখন নিজের পোষাক খুলতে শুরু করে তখন গাছে আটকে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করে ধর্ষণে উদ্যত অজিতকে। ঘটনাস্থলেই অজিতের মৃত্যু হয়।তাকে মৃত রেখে রাত নয়টায় কিশোরী মেয়েটি ষোলভরাম থানায় পৌঁছে পুরো ঘটনার বয়ান দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করলেও কিশোরী মেয়েটিকে গ্রেপ্তার করেনি। হত্যাটি আত্মরক্ষায় হয়েছে প্রমাণিত হলে কিশোরী অব্যাহতি পাবে।
পুলিশ জানায়, কিশোরী দশম শ্রেণির ড্রপ আউট ছিল। ধর্ষক অজিত কুমার দুই ছেলের বাবা ও কিশোরীর খালাত ভাই। পারিবারিক কলহে গত কয়েক মাস আগে তিনি স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ নিয়েছিল অজিত। অজিত কর্মহীন ও মদ্যপ থাকত সবসময়। তার বিরুদ্ধে থানায় চুরির মামলা আছে।
তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন এখনও অবধি এটি আত্মরক্ষার কাজ বলা যায় না আবার হত্যাও বলা যায় না। আমরা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করব যেখানে এই মামলায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ রয়েছে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।