আফগানীস্তানের নারী ও নারী অধিকার কর্মীরা নিজেদের অধিকার নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তালেবানরা আফগানীস্তানে নারীদের অধিকারকে সম্মান করার প্রতিশ্রুতি করলেও তারা ইতিমধ্যেই তা উপেক্ষা করছে জানালেন আফগানিস্তানে জাতিসংঘের নারী প্রতিনিধি অ্যালিসন ডেভিডিয়ান। গত মাসে তালেবানরা আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকেই তালেবানরা নারীর অধিকার স্তিমিত করে যাচ্ছে।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের নারী প্রতিনিধি অ্যালিসন ডেভিডিয়ান বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর ২০২১) নিউইয়র্কের সাংবাদিকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, “তালেবানরা ইসলামিক কাঠামোর মধ্যে নারীর অধিকারকে সম্মান করার কথা বললেও প্রতিদিন আমরা তার বিপরীত খবর পাচ্ছি। নারীদের খেলাধুলা নিষিদ্ধ করেছে এর মধ্যে, মাহরাম বা পরিবারের পুরুষ সদস্য ছাড়া ঘর নারীদের থেকে বের হওয়া নিষেধ করেছে এগুলো সব প্রতিশ্রুতির বিপরীত। কয়েকটি প্রদেশে নারীদের কর্মক্ষেত্রে যেতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। গত মঙ্গলবার সরকার গঠনের ঘোষণার সাথে তালেবানরা গোটা বিশ্বকে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা সত্যিকার অর্থেই অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
গত মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর ২০২১) আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার তিন সপ্তাহ পর সরকার গঠনের ঘোষণা দেয় তালেবানরা। ইসলামী আন্দোলনের সদস্যদের নিয়ে একচেটিয়াভাবে পুরুষদের নিয়ে গঠিত করা হয় সরকার।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানদের প্রথম শাসনামলে আফগান নারীদের কার্যত জনসাধারণের জায়গা থেকে বিরত রেখে নারী অধিকারকে কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করে রেখেছিল সশস্ত্র সংগঠনটি।