সারভাইবার নারী সম্পর্কে ফয়সালের দূর সম্পর্কের মামী। বিয়ের পরই স্বামী চলে যান প্রবাসে এদিকে শ্বশুরবাড়িতে একা থাকেন স্ত্রী। প্রবাসীর স্ত্রীর একাকীত্বের সুযোগ নিতে বারবার কুপ্রস্তাব দিত শ্বশুরপক্ষের দূরসম্পর্কের আত্মীয় (ভাগ্নে) যুবকটি।
সদ্যবিবাহিত মামীকে বারবার কুপ্রস্তাব দিত যুবকটি। সারভাইবার নারী সম্পর্কে অভিযুক্ত যুবক ফয়সালের দূর সম্পর্কের মামী। বিয়ের পরই স্বামী চলে যান প্রবাসে এদিকে শ্বশুরবাড়িতে একা থাকেন স্ত্রী। প্রবাসীর স্ত্রীর একাকীত্বের সুযোগ নিতে বারবার কুপ্রস্তাব দিত শ্বশুরপক্ষের দূরসম্পর্কের আত্মীয় (ভাগ্নে) যুবকটি। কয়েকবার প্রত্যাখ্যাত হয় সে। এ নিয়ে বসেছিল গ্রাম্য শালিসও। এরপর কয়েকজন যুবককে সাথে নিয়ে মামীকে ধর্ষণ আক্রমণ করে ওই ফয়সাল। ধস্তাধস্তির সময় প্রবাসীর স্ত্রীর আর্তচিৎকারে সেখানে ছুটে আসে প্রতিবেশী নারীরা। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ক্ষিপ্ত ফয়সাল প্রবাসীর স্ত্রীসহ প্রতিবেশী অন্তসত্ত্বা নারীকে মারধর করে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় প্রবাসীর স্ত্রীর স্বর্ণালংকারও লুট করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন সারভাইবার ওই নারী।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার এওচিয়া এলাকায়। ধর্ষণ চেষ্টায় প্রধান অভিযুক্ত হল মো. হোসেনের ছেলে মো. ফয়সাল (২২)। এ ঘটনায় শুক্রবার রাত এগারোটায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সারভাইবার নারী। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সাতকানিয়া থানা পুলিশ।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতে আমি একা ছিলাম। হঠাৎ ঘরে এসে আমাকে জোর করে জড়িয়ে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে ফয়সাল।
সারভাইবার নারী জানান, আমার স্বামী বিদেশে থাকার কারণে ফয়সাল বারবার আমাকে নোংরা প্রস্তাব দেয়। আমি তার দূরসম্পর্কের মামি হই। আমি নিষেধ করলেও তারা উত্যক্ত করা বন্ধ করেনি। এ নিয়ে এলাকায় শালিস হয়েছে। শালিসের সিদ্ধান্তও ওরা মানে না। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতে আমি একা ছিলাম। হঠাৎ ঘরে এসে আমাকে জোর করে জড়িয়ে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে ফয়সাল। ভয় পেয়ে চিৎকার করি আমি। চিৎকার করার কারণে ফয়সালের সাথে সাথে থাকা আরও দুজন আমাকে মারধর করে। আমার চিৎকারে পাড়াতো এক ভাসুরের স্ত্রী ছুটে আসেন। তাকেও ওরা মেরেছে। উনি অন্তসত্ত্বা। সেটুকু দয়াও দেখায়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বেডরুমে ঢুকে ওরা আমার সাথে নোংরাভাবে ধস্তাধস্তি করে। আমার নতুন বিয়ে হয়েছে। গলার চেনসহ স্বর্ণ নিয়ে পালানোর সময় প্রতিবেশী নারীরা এলে তাদেরও মারধর করে। আমাকে বাঁচাতে আসা এক নারী অন্তসত্ত্বা ছিলেন। তার পেটে খুব জোরে লাথি দিয়েছে ফয়সাল। ’
সরেজমিন গেলে কয়েকজন এলাকাবাসী উইম্যানভয়েসবিডি প্রতিনিধিকে জানান, একবছর আগে বিয়ে হয়ে এসেছিলেন সারভাইবার নারী। বিয়ের পরেই স্বামী বিদেশে চলে যান। শ্বশুর বাড়ির দূর সম্পর্কীয় আত্মীয় হওয়ায় ফয়সালের ওই বাড়িতে যাওয়া আসা ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই ফয়সাল তার দূর সম্পর্কের মামীকে অশালীন প্রস্তাব দিত ও বাজে অঙ্গভঙ্গী করত। এ নিয়ে হয়েছিল গ্রাম্য শালিসও। প্রতিশোধ প্রবণ হয়ে সে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার আহত ওই অন্তসত্ত্বা নারী বলেন, ধর্ষণ করতে না পেরেই ফয়সাল ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করছিল প্রবাসীর স্ত্রীকে। আমরা গিয়ে তাকে আটকানোর চেষ্টা করি। আমার সাথে আরও ৩জন নারী ছিলেন। আমাদের পিটিয়ে বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় ওরা। আমি পেটে আঘাত পেয়েছি। ওই লাথির কারণে আমার গর্ভের শিশু ভাল আছে কী না এ নিয়ে দুর্ভাবনায় পড়েছি।
প্রতিবেশী বৃদ্ধা মাবিয়া খাতুন বলেন, ফয়সাল খারাপ ছেলে। প্রবাসীর স্ত্রী হলেও সম্পর্কে নারীটি তার মামী। এরপরেও সে খারাপ দৃষ্টি দিয়েছে
প্রতিবেশী বৃদ্ধা মাবিয়া খাতুন বলেন, ফয়সাল খারাপ ছেলে। প্রবাসীর স্ত্রী হলেও সম্পর্কে নারীটি তার মামী। এরপরেও সে খারাপ দৃষ্টি দিয়েছে।
ঘটনাটি অনুসন্ধানের পর সাতকানিয়া থানাকে জানালে ওসি আবুল কালাম আজাদ (তদন্ত) বলেন, আমি বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়েছি। সারভাইবার নারীকে আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করবেন বলেও জানান তিনি।