কুয়েতের নারীরা যারা সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাদের হিজাব পরার শর্ত পূরণ করতে হবে বলে নতুন একটি সিদ্ধান্ত জারি হয়েছে। দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শেখ হামাদ জাবের আল আলী এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত জারি করার পর থেকেই এটি নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা তৈরি হয়েছে। দেশটির শিক্ষাবিদসহ গুণীজনেরা বলেছেন এটি একটি বৈষম্যমূলক এবং সংবিধান পরিপন্থী আইন।
কুয়েতের আল কাবাস পত্রিকায় দেওয়া এক বিবৃতিতে সাংবিধানিক ও একাডেমিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জনসাধারণের পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের হিজাব পরার প্রয়োজনীয়তা কুয়েতের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। কারণ কুয়েতের সংবিধানের অনেক অনুচ্ছেদ ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করে। তাই শর্তটির কোনও আইনি ভিত্তি নেই। .
জানা গেছে, দেশটির আইন সংস্থা আওকাফ মন্ত্রকের ফতোয়া কর্তৃপক্ষের একটি ফতোয়ার উপর ভিত্তি করে এমন শর্ত তৈরি করেছেন। এছাড়াও শর্তে উল্লেখ করা হয় সেনাবাহিনীতে যোগদানকারী নারীর অবশ্যই অভিভাবক বা স্বামীর কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে যা কী না নারীর ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ও স্বাধীনতায় সরাসরি হস্তক্ষেপ।
দেশটির শিক্ষিাবিদরা বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক আদালত সু-মোটো বাতিল করার আগেই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।