চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে ধর্ষণ মামলায় ২জনের যাবজ্জীবন
ঘটনাটি প্রায় ১৮ বছর আগের। ভিকটিম নারী ছিলেন গার্মেন্টস কর্মী। তিনি চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গার জিএম কলোনি গেট এলাকায় ভাড়াবাসায় থাকতেন। ২০০৩ সালের ৩ অক্টোবর সকালে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তিনি। গণধর্ষণের ওই ঘটনাটি ঘটেছিল চট্টগ্রামের কাটগড়ের ইস্টার্ন রিফাইনারি কলোনি গেট এলাকায়। দীর্ঘ ১৮ বছরের বিচার প্রক্রিয়ার পর মামলাটিতে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ৭—এর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুন্সী আব্দুল মজিদ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া দুই ধর্ষকের নাম মো. আলিম উদ্দিন ও মো. হারুন। তাদের মধ্যে মো. হারুন পলাতক ও মো. আলিম উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলায় খালাস পাওয়া দুই অভিযুক্তরা হল ড্রাইভার আমিন ও ড্রাইভার জসীম।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৭ এর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ৭-এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার আরিফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বর্ণনা দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ৭-এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, ‘ভিকটিম নারী ওই সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। আসামিরা ছিল বাস ড্রাইভার। তারা ভিকটিমকে প্রায় সময় উত্যক্ত করত ও নোংরা প্রস্তাব দিত। ২০০৩ সালের ৩ অক্টোবর সকালে ভিকটিম নারী বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে তাকে জোর করে বাসে তুলে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে দুই আসামি। বাকি দুজন ধর্ষণে সহায়তা করে।
তিনি বলেন, ঘটনার দিনই সারভাইভার ওই নারী পতেঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সেটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩) ধারায় এফআইআর হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করা হয় ও ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়।’
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ৭-এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার আরিফুল আলম আরও বলেন, ‘মামলার ৫জন সাক্ষীদের পর্যবেক্ষণ জেরা ও জবানবন্দি শেষে আসামিরা সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমাণিত হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৭ এর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। অনাদায়ে আরও তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।’