‘বাংলাদেশে কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়া নিষিদ্ধ করা হোক’, ‘না হয় আমার বোন হিরামনির ধর্ষকদের ক্রসফায়ার দেওয়া হউক’, ‘আজ হিরামনি কাল কে’, ‘বোন হত্যার ফাঁসি চাই’, ‘আমার বোন ধর্ষিতা কেন প্রশ্নের জবাব চাই’—হিরামনি ধর্ষণের প্রতিবাদে প্লেকার্ড নিয়ে সড়কে নেমেছে লক্ষ্মীপুরের তরুণরা।
হিরামনি হত্যার দুদিন পেরিয়েছে মামলায় কেউ গ্রেপ্তার নেই। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে দুজন ও পরে একজনকে আটক করা হলেও ধর্ষণ খুনে কে জড়িত সেটির সুরাহা হয়নি এখনও। এমন নৃশংসতার পরও হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়ার ক্ষোভে ফুঁসছে জনগণ।

এদিকে ১৩ জুন ও ১৪ জুন হিরামনি হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও প্লেকার্ড প্রদর্শন করে প্রতিবাদ জানিয়েছে নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুর জেলার পালেরহাট পাবলিক হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ফোরাম ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অল ইয়ুথ সোসাইটি। তারা হিরামনি হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানান।
জানা গেছে, হিরামনির বাবা হারুনুর রশিদ ক্যান্সারে চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকায়। তার সাথে ছিলেন হীরামনির মা ও ছোট দুই ভাইবোন। বাড়িতে কেউ না থাকায় সে নানার বাড়িতে ছিল। শুক্রবার সকালে কিছু জিনিসপত্র নিতে নিজের বাড়িতে আসে। ওই সময়টাতে ঘরে সে একাই ছিল। দুপুর ২টার দিকে প্রতিবেশি নারী তাকে ডাকতে গিয়ে দেখেন, হিরামনি অর্ধ-উলঙ্গ অবস্থায় খাটের ওপর পড়ে আছে। তার পায়ের দিকটা মাটিতে পড়ে ছিল
পুলিশ বলছে, ধারণা করা যায় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে হিরামনিকে। ওইদিন বিকেলে হিরামনির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে সন্দেহভাজন দুই যুবককে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। পরেরদিন আরও একজনকে আটক করা হয়। তবে এখনও মামলায় কেউ গ্রেপ্তার নেই।
নিহত হিরামনির মা ফাতেমা বেগম জানান, স্থানীয় চম্পকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র অয়ন উত্যক্ত করত হিরামনিকে। মেয়েকে উত্যক্ত না করতে অয়নকে কয়েকবার বুঝিয়েছিলেন তিনি।