সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গৃহশ্রমিক হিসেবে যাওয়ার পর নারীরা মধ্যযুগীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যারা ফিরে এসেছেন তাদের অনেকেই ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ধর্ষণের শিকার নারীদেরর ফিরিয়ে নেয়নি তাদের তাদের পরিবার।
বাংলাদেশ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের তথ্য অনুসারে, সৌদি আরবে ১৫৩ জন বাংলাদেশি নারী প্রাণ হারিয়েছেন। মৃত নারীদের মধ্যে ৩৯ জন আত্মহত্যা করেন এবং ৬৯ জন দুর্ঘটনায় মারা গেছে বলে জানানো হলেও তবে দুর্ঘটনাগুলোর কারণ ও সময় উল্লেখ করা হয়নি।
সংস্থাটি বলছে, ২০১৯ সালে দেশের মধ্যেই মোট ৫১ জন গৃহশ্রমিক নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হন। তাদের মধ্যে ১৭জন হত্যার শিকার হয়েছেন।
বাংলাদেশ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) তথ্য বলছে, গৃহশ্রমিকরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত, শ্রমিক হিসেবে তাদের স্বীকৃতি এবং দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তাদের সংগঠিত করতে আইএলও কনভেনশন-১৮৯ অনুসাক্ষর করা জরুরি।
বাংলাদেশ লেবার ফোর্স সার্ভে ২০১৬-১৭ অনুযায়ী দেশে গৃহস্থালি কাজে জড়িত শ্রমিকের সংখ্যা ১৩ লাখ এবং আইএলওর হিসেবে বাংলাদেশে গৃহশ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৩২ লাখ। যার ৮০ শতাংশ নারী এবং বিদেশেও ৮ লাখেরও বেশি গৃহশ্রমিক নিয়োজিত আছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, গৃহশ্রমিক পেশাটি এখনও অপ্রাতিষ্ঠানিক থাকায় শ্রম আইনের আশ্রয় পাচ্ছেন না নারীরা। কোন দেশের শ্রম আইনেই শ্রমিক হিসাবে কোন প্রকার স্বীকৃতি নেই তাদের। দেশের অর্থনীতি ও নিজের পরিবারে অবদান রাখলেও স্বীকৃতি মেলেনি এখনও।