মহেশখালী দ্বীপের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নানা সীমাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ২৪ বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসা শামীমা সুলতানা বুলবুল শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কার পেয়েছেন। চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে উপজেলা পর্যায়ে তিনি এ পুরস্কার পান।
গেল বুধবার (৯ ডিসেম্বর) মহেশখালী উপজেলা মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান।
শামীমা সুলতানা বুলবুল জানিয়েছেন, বাবা নুর আহমেদও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। বাড়ি উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের উত্তরকুল গ্রামে। স্বামী আবদুল গফুর একজন ব্যবসায়ী। স্বামী-সন্তান নিয়ে সাংসারিক কাজের পাশাপাশি রীতিমত লড়াই করে জীবনের দীর্ঘ সময় চাকরি করছেন তিনি। অজপাড়া গ্রামের পরিবেশে একাধারে একজন শিক্ষক, একজন স্ত্রী ও একজন মায়ের দায়িত্ব পালন করা কঠিনতম কাজ। আর এই কাজটি সফলভাবে করে ইতিমধ্যে সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন তিনি।
শিক্ষকতা জীবনের ২৪ বছর পদার্পন করেছেন। এখন আদিনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। ইতিপূর্বে মহেশখালী উপজেলার প্রায় ৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার এক ভাই সরওয়ার আলম শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এক বোন শিরীন সোলতানা রামু উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
এছাড়াও তার বড় ছেলে আবরার শাহরিয়ার শাওন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির অধীনে সুইডিশ রেডক্রসে কর্মরত এবং ছোট ছেলে আদনান শাহরিয়ার সিফাত বর্তমানে কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ টরেন্টোতে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়নরত।