টিকটকের স্টার হওয়ার ইচ্ছে ছিল কিশোরীর। মোবাইলে অনেকটাই আসক্তি। মোবাইলেই পরিচয় ও বন্ধুত্ব তরুণদের সাথে। ওই বন্ধুরাই ঘর থেকে ডেকে নিয়ে তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে কিশোরীকে।
টিকটক ভিডিওতে কাজ করা ও জনপ্রিয় হওয়ার ঝোঁক ছিল ঢাকার গাজিপুরের সবে শৈশব পেরুনো এক কিশোরীর। সে সুবাদে কিশোরীর সাথে মোবাইলে বন্ধুত্ব হয় তরুণের সাথে। টিকটক ভিডিও করে টাকা আয় ও স্টার বানানোর কথা বলে ঘর থেকে ভাগিয়ে আনে চার তরুণ। রাজধানীর গেন্ডারিয়া এলাকায় এনে নির্জন স্থানে কিশোরীকে ধর্ষণ করে ওই চার তরুণ। কিশোরীর পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করলে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর,২০২০) রাতে গ্রেপ্তার হয় দুই তরুণকে। থানায় কিশোরীর বয়ানে উঠে আসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা। সারভাইবার কিশোরীেএখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল শিশির (১৯) ও জুনায়েদ (১৯)। থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তাদের।
গ্রেপ্তারকৃত দুই যুবকের নাম শিশির (১৯) ও জুনায়েদ (১৯)। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে টঙ্গি থানা।
শনিবার বিকেলের বিশেষ অভিযানে উদ্ধার হয় ধর্ষণের শিকার কিশোরী।
টঙ্গি থানা সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীর বাড়ি গাজীপুরে। গত ২৩ ডিসেম্বর সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরদিন টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার। শনিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ওইদিন বিকেলেই মামলা দায়ের করেছে কিশোরীর পরিবার।
সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ওই কিশোরীর মোবাইলে আসক্তি ছিল। তার মোবাইলে টিকটক বানানোর শখ। সেখান থেকে ফেসবুকে কয়েকজনের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ও পরিচয়। তাকে ‘টিকটক স্টার’ বানানো হবে, এমন কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে নেয় ওই বন্ধুরা। এরপর তাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। সেখানে টানা তিন দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে তারা।
মেয়েটির পরিবার জানায়, গত ২৩ ডিসেম্বর বিকেলে নানার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় মেয়েটি। এরপর সন্ধ্যা হয়ে গেলেও সে না ফেরায় অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরে আর তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, থানায় জিডি হওয়ার পরতাকে খুঁজতে অভিযানে নামে পুলিশ। নিখোঁজের তিনদিনের মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে কিশোরীর বয়ান অনুসারে অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে ঢাকার ওয়ারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে আইনি পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।