দুই পরিবারের ভাল সম্পর্ক ছিল। পাশের ঘরে টিভি দেখতে গিয়েছিল ছোট্ট শিশুটি। ওইদিন একাই ছিল সে। সুযোগ বুঝে ৬ বছরের কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয় মো. খলিল নামের ৪০ বছর বয়সী এক গার্মেন্টস কর্মীর হাতে। শিশুটি বুঝতেও পারেনি কিছু শুধু নিজের বাবা মাকে বলেছিল, ‘খলিল মামা আমাকে ব্যথা দিয়েছে।’ গুরুতর অবস্থায় শিশুটির চিকিৎসা চলছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে।
ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড এলাকায়। রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) ধর্ষক খলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত খলিল পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার আতরখালী গ্রামের মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে। এই ঘটনায় আজ সোমবার ধর্ষক খলিল দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
শিশুটির বাবা বলেন, আমি রিকশাচালক। আমার মেয়ে পাশের একটি ঘরে টিভি দেখতে গিয়েছিল। তাদের সাথে সম্পর্ক ভালো ছিল বিধায় পরিবারের সদস্যদের যাতায়াত ছিল। ওই বাসায় অন্যান্য দিনের মত গত ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে টিভি দেখতে গিয়েছিল আমার ছোট্ট মেয়ে। সেখানে গিয়ে বাচ্চাটা ধর্ষণের শিকার হল। আমি ন্যায়বিচার চাই।
পুলিশ জানায়, প্রথমে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা বুঝতেই পারেনি তার সাথে কি হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতাল নেওয়া হলে চিকিৎসকরা পরিস্থিতি বুঝে চিকিৎসকরা শিশুটিকে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) রেফার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি পুলিশকে জানিয়েছে, ‘খলিল মামা তাকে ব্যাথা দিয়েছে।’
বর্তমানে শিশুটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান-ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)তে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শিশুটির বাবা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।