নারী বা পুরুষ চিহ্নিত করতে কেবল শারীরিক গড়নটাই যথেষ্ট নয়— এটুকু কথা বোঝাতে গিয়ে রীতিমত যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে গেছেন হো চি মিন ইসলাম। তার সাথে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেবল লিঙ্গ বৈষম্য বলা যায় না, ধর্মীয় নিষেধের কারণ বললেও ব্যপারটাকে খুব ছোট করে দেখা হয়। ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষের জন্য ঘৃণা বিদ্বেষে ডুবে থাকা রাষ্ট্রযন্ত্র হো চি মি ন ইসলামকে অন্তর্ভূক্ত করতে চায়নি। চায়নি বলেই নর্থ সাউথের ঘটনাটি ঘটতে পেরেছে। আমাদের বুঝতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক ডেকোরামে কোন ঘটনা ঘটার অর্থই হল, একে ঘটতে দেওয়া হয়েছে।
ধর্ম ও সমাজ প্রথা সময়কে পেছনে নিতে চেয়েছে চিরকালই। তাই বলে কী সমাজের উন্নয়ন জীবনের উন্নয়ন থেমে থেকেছে কোথাও? থামেনি। যখন যেখানে পরিবর্তন প্রয়োজন সেখানে তার পরিবর্তন করা হয়েছে। কেবল লিঙ্গ বৈষম্যকে বাঁচিয়ে রাখার অজুহাতই বুঝি ধর্ম ও সমাজ প্রথা?
আমাদের সংবিধান মানুষের অধিকার সম্পর্কে কি বলে?
সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ বলে , “All Citizens are equal before law and are entitled to equal protection of law”. এই মৌলিক নীতি লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে যে কোনো ধরনের বৈষম্যকে নিষিদ্ধ করে লিঙ্গ সমতার ভিত্তি তৈরি করে। সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদ বলছে, ‘women shall have equal rights with men in all spheres of the State and of public life.’
এই বিধান সুস্পষ্টভাবে লিঙ্গ সমতাকে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রসহ সমাজের সকল ক্ষেত্রে পুরুষের সাথে নারীদেরও সমান অংশীদারিত্বের কথা। সেখানে রুপান্তরকামী মানুষের কথা নেই। এর মানে আসলে লিঙ্গ বলতে বোঝায় পুরুষ ও নারী, নাগরিক বলতে বোঝায় পুরুষ ও নারী এমনকী মানুষ বলতেও হয়ত বোঝায় পুরুষ ও নারী। ট্রান্সজেন্ডার মানুষের অস্তিত্ব ও তাদের মানবাধিকার, তাদের নাগরিক অধিকারের কথা স্পষ্ট করা নেই।
সংবিধানের ১০ অনুচ্ছেদ বলে, ‘This provision guarantees the right to life and personal liberty for all citizens.’
প্রশ্ন উঠতে পারে স্বাভাবিকভাবেই তাহলে কি হিজড়া, ট্রান্সজেন্ডার যারা তারা বাংলাদেশের নাগরিক না? উত্তর হলো তারা কাগজে কলমে এই করোনা শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নাগরিক ছিল না। পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, করোনার টিকার অ্যাপ সুরক্ষা; কোথাও তাদের প্রবেশের কোন সুযোগ নেই।
মহামারির সময় দেখা গিয়েছে হাসপাতালে নারী ও পুরুষের আলাদা শয্যা থাকলেও ট্রান্সজেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গের কারও জন্যে আলাদা কোন শয্যা বা ওয়ার্ড নেই। ট্রান্সজেন্ডারদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন জটিলতার কারণে নিবন্ধন করতে না পারায় শুরুর দিকে এ জনগোষ্ঠী টিকাই দিতে পারেনি।
এসব বঞ্চনা কী তুচ্ছ? এমন মানুষেরা রাষ্ট্রের কাছে অস্তিত্বহীন। যার অস্তিত্বই নেই, তার অধিকার প্রাপ্তি কিভাবে ঘটবে?
দণ্ডবিধির ধারা ৩৭৭
দণ্ডবিধির ধারা ৩৭৭ বলছে, “Whoever voluntarily has carnal intercourse against the order of nature with any man, woman or animal, shall be punished with [imprisonment] for life, or with imprisonment of either description for a term which may extend to ten years, and shall also be liable to fine. Explanation.Penetration is sufficient to constitute the carnal intercourse necessary to the offense described in this section.’’
আইনটি স্পষ্টতই ‘‘বংশবৃদ্ধির নিয়ম ছাড়া অন্য পন্হায় দৈহিক মিলনকে অপরাধ’’ করে তুলেছে। এর প্রভাব আইনি পৃথিবীর বাইরেও মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে, যেমন তৃতীয় লিঙ্গ ও সমপ্রেমী মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে অপরাধ বানিয়ে ফেলে, ফলে সামাজিক বৈষম্যগুলো ন্যায্যতা পায়।
যদিও দণ্ডবিধির ধারাটি স্পষ্টভাবে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের টার্গেট করেনি। তাবে সম্মতিমূলক যৌনতাকে অপরাধ হিসেবে রাখা হয়েছে। ফলে ট্রান্সজেন্ডার মানুষের লিঙ্গ পরিচয় ও যৌন পরিচয় হয়ে ওঠে একধরনের অপরাধ। ধারাটি যৌন অভিযোজন এবং লিঙ্গ পরিচয়ের বিরুদ্ধে সামাজিক কুসংস্কারকে বাহবা দেয়, প্রশ্রয় পায় এনএসইউ ইসলাম প্র্যাকটিশনার্সসহ নানা রকমের বিদ্বেষপোষণকারী গোষ্ঠী। এদিকে ট্রান্সজেন্ডার মানুষকে সমাজের প্রান্ত থেকে আরও প্রান্তের দিকে ঠেলে দেয়।
ধারা ৩৭৭-এর মতো আইন মানবাধিকারের মূল নীতির বিরোধী- মর্যাদা, সমতা এবং গোপনীয়তা। তারা ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের একই অধিকার এবং সুরক্ষা অস্বীকার করে যা অন্যদের দেওয়া হয়, শুধুমাত্র তাদের লিঙ্গ পরিচয় বা যৌন অভিযোজনের উপর ভিত্তি করে।
মানুষ তার লিঙ্গ নির্ণয় করে?
মানুষের ক্রোমোজোম সুতোর মত, এটি নিউক্লিয়াসে পাওয়া যায়। ক্রোমোজোম জেনেটিক তথ্য বহন করে। ত্রোমোজোম জোড়ায় জোড়ায় আসে প্রতিটি পিতামাতার থেকে। এই জোড়াগুলির মধ্যে, ২৩তম জোড়া, যাকে সেক্স ক্রোমোজোম বলা হয়। ওই ক্রোমোজোম একজন ব্যক্তির জৈবিক লিঙ্গ নির্ধারণ করে।
XX ক্রোমোজোম: সাধারণত, নারীর ২৩তম ক্রোমোজোমে দুটি X ক্রোমোজোম (XX) থাকে। এই X ক্রোমোজোমগুলি নারীর যৌন পরিচয় নির্ধারণের জন্য দায়ী জিনটিকে বহন করে।
XY ক্রোমোজোম: বেশিরভাগ পুরুষের ২৩ তম জোড়ায় একটি X এবং একটি Y ক্রোমোজোম (XY) থাকে। Y ক্রোমোজোমে এমন জিন থাকে যা পুরুষের যৌন বিকাশকে ট্রিগার করে।
এটিও লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ ক্রোমোজোমগুলো জৈবিক লিঙ্গ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে তারাই একমাত্র কারণ নয়। হরমোন সংবেদনশীলতা অথবা জিনগত পরিবর্তন বা পার্থক্যের উদাহরণ রয়েছে যা মানুষকে যৌনতার বিভিন্ন জৈবিক অভিব্যক্তির দিকে নিতে পারে এবং এই বৈচিত্র্য প্রাকৃতিক মানব বৈচিত্র্যের একটি অংশ।
বর্ং বলা চলে লিঙ্গ পরিচয় তাদের ক্রোমোজোমের উপর ভিত্তি করে জন্মের সময় তাদের জন্য নির্ধারিত লিঙ্গের সাথে নাও মিলতে পারে। এ কারণেই ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের জন্মের সময় পাওয়া নির্ধারিত লিঙ্গের সাথে তার অনুভবের লিঙ্গ মেলে না।
কী ঘটেছিল হো চি মিনের সাথে?
নভেম্বরের ২৪ তারিখে হোচিমিনের নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে Women’s Career Carnival এ বক্তব্য রাখার কথা ছিল একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী কর্মক্ষেত্রে কি কি ধরনের বাধার সম্মুখীন হয় এবং সে বাধা অতিক্রম করতে কি করণীয়, সে বিষয়ে। নর্থ সাউথের স্টুডেন্টরা হোচিমিন যেন না আসে, বক্তা হিসেবে, তা জানিয়ে ভিসিকে চিঠি দেয়। সেখানে তারা বলে হোচিমিনের এ আগমন ও বক্তব্য LGBTQ মুভমেন্টকে উৎসাহিত করবে। হোচিমিনের বক্তব্য প্রদানের প্রক্রিয়া বাতিল হয়েছে, তাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে হেনস্থা করা হয়েছে এবং সর্বশেষ তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত ‘নিরাপত্তা’ উল্লেখ করে আয়োজক সংস্থাও হো চি মিন ইসলামকে অনুষ্ঠানে যেতে নিষেধ করে।
হোচিমিন কি তার প্রজনন অঙ্গ দিয়ে বক্তব্য রাখতেন? তিনি একজন সার্টিফায়েড ICU নার্স। কিভাবে তার ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন সে বিষয়ে সবাইকে জানাতেন। হোচিমিন কি তার সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন নিয়ে বক্তব্য রাখতেন? না। ক্যারিয়ারের সাথে কে কার সাথে কোন যৌন সম্পর্কে লিপ্ত তার কোন সংযোগ নেই।
হোচিমিন যখন তার এই আক্ষেপের কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেন সেখানে ৯ হাজারের বেশি ‘’হা হা’ রিয়্যাক্ট পড়ে তাকে হেনস্থা করার জন্য।
হোচিমিনকে বলব এই ৯ হাজারের বিপরীতে ১ হাজার মানুষ কিন্তু আপনাকে উৎসাহ দিয়েছে, ভালোবাসা জানিয়েছে,নর্থ সাউথের মতো একটি বিদ্যাপীঠের জঙ্গী মনোভাবের আঁতুড়ঘরে পরিণত হওয়া, হোমোফোবিক আচরণের কারণে অনেকে লজ্জিত হয়েছেন।
সিলেটের নূরজাহানকে আজ থেকে প্রায় ত্রিশ বছর আগে ফতোয়া দিয়ে পাথর নিক্ষেপ করে আত্মহননের পথে ঠেলে দেয়া হয়। যে ধর্ম ফতোয়ার সৃষ্টি করে সেই ধর্মকে পাশে সরিয়ে সিভিল ল তৈরি হয়। যুগে যুগে তাই হয়েছে। আজকে ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া সবার অধিকার সুরক্ষায় আইন থাকলে কথা বলা সহজ হতো। হো চি মিনের জন্য আমরা আইনি লড়াইও একই সাথে চালাতে পারতাম।
আমাদের তথাকথিত স্বাভাবিক জনগোষ্ঠী যারা বিষমকামী তাদের হো চি মিনকে নিয়ে যত না ধর্মীয় কারণে বিরোধীতা তার চেয়ে বেশী ক্ষতের জায়গা হচ্ছে, ‘ঈর্ষা-হিংসা’; তারা স্ট্রেইট, সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়েও হো চি মিনের জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি। এত প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে বগুড়ার মেয়ে হো চি মিন আজকে দেশে বিদেশে আইকনে পরিণত হচ্ছে, পাবলিক হেলথের মতো বিষয়ে মাস্টার্স করে ফেলেছে, প্রধানমন্ত্রীও তাকে ডেকে নিয়ে একান্তে আলাপ করছেন এগুলো কী ঈর্ষায় ফেলেছিল ওদের?
ট্রান্সজেন্ডার অধিকার সুরক্ষা আইন, ২০২৩
‘ট্রান্সজেন্ডার অধিকার সুরক্ষা আইন’ নামে একটি আইনের খসড়া তৈরি হয়েছে। সমাজসেবা অধিদফতর ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটিকে ‘হিজড়া’ শব্দ দিয়ে প্রতিস্থাপন করে ধোঁয়াশার সৃষ্টি করেছে। কারণ হিজড়া একটি সম্প্রদায়, লিঙ্গ নয়। ট্রান্সজেন্ডার তারা যাদের শারীরিক ভিন্নতা রয়েছে আবার যাদের শারীরিক ভিন্নতা না থাকলেও মানসিকভাবে নিজেকে অন্য লিঙ্গের বলে অনুভব করেন।
হিজড়া একটি কালচার। অন্যদিকে ট্রান্সজেন্ডাররা রূপান্তরকামী জনগোষ্ঠী। ট্রান্সজেন্ডার অধিকার সুরক্ষা আইন হলে তার মধ্যে ট্রান্সম্যান, ট্রান্সউইমেন, হিজড়া, ইন্টারসেক্সুয়াল সব জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত হতে পারত।
‘ট্রান্সজেন্ডার অধিকার সুরক্ষা আইন, ২০২৩ এর খসড়ায় ৪ নম্বর ধারায় ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির পরিচয় দেওয়া হয়েছে এভাবে—
ক. এমন ব্যক্তি যাহাকে পূর্ণাঙ্গ নারী বা পুরুষ কোনো লিঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা যায় না …
খ. এমন ব্যক্তি, শারীরিক-মানসিক ও আচরণগত বা মনস্তাত্বিক অবস্থার রূপান্তরের ফলে যাহার প্রকাশভঙ্গিতে পরিবর্তন ঘটিয়াছে
গ. এমন ব্যক্তি, যিনি নিজেকে জেন্ডার নৈর্বক্তিক অনুভব করেন।
অন্তর্ভূক্তির এ স্পষ্ট সংজ্ঞার পরেও কেন ট্রান্সজেন্ডারদের হিজড়া শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হচ্ছে তা আসলেই বোধগম্য নয়।
ট্রান্সজেন্ডার নারী হো চি মিন ইসলামের সাথে যা হয়েছে তার প্রেক্ষিতে মনে হয়েছে ট্রান্সজেন্ডার অধিকার সুরক্ষা আইন শুধু খসড়ার পর্যায়ে রাখার আর সুযোগ নেই। মানুষের অধিকার, জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে হলে একে আইনে পরিণত করতে হবে দ্রুত।
ইসলামিক প্র্যাক্টিশনার ফর এনএসইউয়ের ব্যানারে যারা হোচিমিনকে মব লিঞ্চিং এর দিকে এই ঠেলে দিলেন তাদের এ জীঘাংসা লেখা থাকবে হোমোফোবিকদের হিংস্রতার দালিলিক প্রমাণ হিসেবে। Independent University এর এনভায়োরেন্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টের শিক্ষক মোহাম্মদ সারোয়ার হোসাইন,আসিফ আল আদনান,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষক মোজাম্মেল হক, এনএসইউ এর টিচিং এসিস্ট্যান্ট তানজীরুল আমিন, আপনারা যে ট্রান্সফোবিয়া দেখিয়েছেন, যে যুদ্ধ হো চি মিনের বিরুদ্ধে ঘোষণা করেছেন তা ন্যক্কারজনক।
একজন হো চি মিন মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে কোন প্রলোভনেই দেশ ছাড়েননি। শুধু এই ট্রান্স পরিচয়ের কারণে তার পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছিলো অনেক মাস।
মানুষের পরিচয় তার স্তনে না, ভ্যাজাইনাতে না, পেনিসে না, পেশিতে না, জরায়ুতে না—মানুষের পরিচয় লেখা তার মস্তিষ্কে; তার ঐ মাথা কি কর্ম পরিবারকে, সমাজকে, রাষ্ট্রকে দিচ্ছে সেটাই তার সিগনেচার মার্ক। একজন ঋতুপর্ণ ঘোষ চিত্র নির্মাতা এটাই তার দিনশেষে পরিচয় হল তিনি কোন জেন্ডার, কোন সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনের কেউ মনে রাখে না তার সিনেমা দেখার সময়, একজন মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা সর্বকালের সেরা নারী লং টেনিস প্লেয়ার তার ব্যক্তিগত জীবনের কোন হিসাব তার টেনিস র্যাংকিং এ আসে না।
ব্রিটিশ গিয়েছে, ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে তিনটি দেশ হয়েছে,১৬৩ বছর ধরে অপেক্ষা করছি একটি আইন পরিবর্তনের। ভারত করে ফেলেছে,পাকিস্তানেও আছে,শুধু আমরা এখনো খসড়ায় আটকে আছি। অপেক্ষার অবসান হোক দ্রুত।
ট্রান্সজেন্ডার অধিকার সুরক্ষা আইন পাসের মাধ্যমে সব ধরনের জেন্ডার বৈষম্য দূর করা হবে অতিসত্বর আমরা এ আশাবাদ ব্যক্ত করে হোচিমিন ইসলামের সাথে সংহতি জানাই।