গলায় প্যাচানো ওড়নাসহ ডোবায় ভাসছিল পায়রা বেগমের লাশ। কে বা কারা খুন করেছে কোন সূত্র নেই। তবে বরের সাথে বিচ্ছেদের পর ৪৮ বছর বয়সী পায়রা বেগম মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না বলে দাবি এলাকাবাসীর।
ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ডাঁশা গ্রামে। স্থানীয়রা খবর দিলে ডোবা থেকে পায়রা বেগমের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত নারী নাম পায়রা বেগম একই এলাকার মৃত আতিয়ার রহমানের মেয়ে।
এলাকাবাসীরা বলেছেন, রোববার (৬ মার্চ, ২০২২) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ডাঁশা গ্রামের ডোবার পানিতে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ওই নারীর লাশ ভাসতে দেখে খবর দেন স্থানীয়রা।
বরের সাথে বিচ্ছেদের পর পায়রা বেগম তার বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তবে কেন বা কি উদ্দেশ্য পায়রা বেগমকে হত্যা করে তার লাশ পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে বিষয়টি রহস্যজনক।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ‘গলায় ওড়না পেঁচানো নারীর লাশ ডোবা থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মানসিকভাবে অসুস্থ নারীকে কেন হত্যা করা হবে বিষয়টি রহস্যজনক। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর হত্যার প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’