নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্বভিলায় একটি বাড়িতে স্ত্রীকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে তালাবদ্ধ করে রাখার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সোহাগ (২৭)। তিনি নিহত ওই নারীর স্বামী। সোহাগের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মুন্সিবাড়ীতে। তারা দু’জনই গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি সেই কক্ষ থেকে মুক্তা বেগম (২৭) নামে ওই নারী শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য মরদেহ ঘরের মেঝেতে রেখে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘর তালাবদ্ধ করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় আসামি। তারা সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্বভিলা এলাকায় শামসুল হক নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার পাশাপাশি সিআইডিও ঘটনাটি তদন্ত করে। এ ঘটনার সঙ্গে সোহাগের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। বুধবার রাতে রাজধানীর পল্লবী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহাগ পটুয়াখালীর বাঙ্গাবালীর উত্তর দোহাজের আব্দুর রশিদ গাজীর ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে সিআইডি। আসামির বরাত দিয়ে সিআইডি জানায়, মুক্তা বেগম ও সোহাগ সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় পৃথক দু’টি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করতেন। সেখানে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তারা ২০১৯ সালে বিয়ে করেন। ২০২১ সালে মুক্তা তিন মাসের অন্তসত্ত্বা হলে তাকে গর্ভপাত করানো হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে পটুয়াখালীতে সোহাগ প্রথম বিয়ে করেন এবং একটি সন্তানও রয়েছে। বিয়ের বিষয়টি মুক্তা বেগমের কাছে গোপন রেখে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে সোহাগকে জিজ্ঞাসা করলে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ২২ জানুয়ারি রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মুক্তাকে হত্যা করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য মরদেহ ঘরের মেঝেতে রেখে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘর তালাবদ্ধ করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সোহাগ।
এ ঘটনার পর মুক্তা বেগমের চাচা সোহেল মিয়া সোহাগের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা হয় ২৫ জানুয়ারি।