মিন্টু চন্দ্র নামে এক যুবকের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল বোয়ালখালীর এক কিশোরী। ঘটনা গেল বছরের ১০ অক্টোবর। বিয়ের প্রলোভন ও সামাজিক চক্ষুলজ্জার ভয় দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয় ধর্ষকের পরিবার। চলতি বছরের শুরুতে ওই কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন ঘটলে ধর্ষক মিন্টুর পরিবারকে জানায় কিশোরীর পরিবার। কিন্তু বিপত্তি বাঁধলো ধর্ষকের যুবকের বাবা বাঁশি চন্দ্র বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সময়ক্ষেপণ করায়। বর্তমানে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরী।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবার সামাজিক সুরাহার আশায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান। দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করেও ন্যায় বিচার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত আইনের আশ্রয় নেয় ভিকটিমের পরিবার। সোমবার (৬ জুলাই) থানায় এজাহার দায়ের করলে রাত ২টায় সেটি মামলা হিসেবে থানায় রেকর্ড করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ১০ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরীকে ঘরে রেখে বাবা-মা মন্দিরে পূজা দিতে যান। ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে কিশোরীকে একা পেয়ে উপজেলা পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশি চন্দ্রের ছেলে মিন্টু চন্দ্র (২২) ঘরে ঢুকে জোর করে মুখ চেপে ধরে কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিষয়টি গোপন রাখার জন্য বলে।
স্থানীয়রা জানান, ওই কিশোরীর পিতা রিকশাচালক ও মা অন্যের বাড়িতে গৃহস্থালি কাজ করে সংসার চালান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জসিম উদ্দিন জানান, মেয়ের বাবা-মা এ বিষয়ে জানিয়েছিলেন। তবে তারা উভয়পক্ষ বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের কথা বললেও কিশোরীর পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছিলাম।
আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে জানিয়ে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, অভিযোগ পেয়ে রাত ২টার সময় মামলা এন্ট্রি করে কিশোরীকে জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।