‘ধর্ষণ ভিডিও’ ধারণ করে ভিকটিমের কাছে চাঁদা দাবি
ভিকটিমের স্বামী মাইক্রোবাস চালক। যাত্রী নিয়ে তিনি চট্টগ্রাম এলে স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে পারভেজ। পারভেজের সাথে থাকা অন্যরা ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে। ঘটনার পরপরই ওই ভিডিও প্রচার করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ধর্ষক ও তার সহযোগীরা। চাঁদা দিতে রাজি না হলে ওই ভিডিও পাঠিয়ে দেয় ভিকটিমের স্বামীর মোবাইল ফোনে। সামাজিক লজ্জায় স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দিয়েয নিজে এলাকা ছেড়ে গেছেন ভিকটিমের স্বামী। ধর্ষণের ১১ দিন পরে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিম নারী।
ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন এলাকায়। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ অক্টোবর রাতে। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে মামলা দায়ের হওয়ার পর বুধবার সকালে অভিযুক্ত কিশোর গ্যাংয়ের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল ছাতারপাইয়া গ্রামের আবদুল কাইয়ুমের ছেলে শুভ (১৮), একই গ্রামের আবদুল হকের ছেলে রকি (১৭) ও হাছান (১৮)। তবে ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত আবদুল কাদেরের ছেলে পারভেজকে (২৫) এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, স্বামীর অনুপস্থিতিতে অন্তসত্ত্বা গৃহবধূকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে পারভেজ। সহযোগী কিশোর গ্যাং সদস্য শুভ, রকি, হাসানসহ অন্যরা জানালা দিয়ে ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে। পারভেজ ধর্ষণ করে চলে যাওয়ার পর শুভ, রকি ও হাসানসহ ৮-১০ জন আবার ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে তাকে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে রাজি না হলে ওই ধর্ষণের শিকার ওই নারীরর কাছে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। চাঁদা না দিলে ক্ষেপে গিয়ে ভিকটিমের স্বামীকে ভিডিও পাঠিয়ে দেয় শুভ, হাসান ও রকি। ঘটনার জেরে স্বামী অন্তসত্ত্বা স্ত্রীকে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেন।
ভিকটিমের পরিরবার জানায়, মামলা না করে মীমাংসা করতে চাপ দেয় ধর্ষক পারভেজের পরিবার। মঙ্গলবার রাতে ভিকটিম নারী সেনবাগ থানায় গিয়ে পারভেজকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করের মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা উইম্যানভয়েসবিডিকে বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েই আমরা ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্য পলাতক আসামিদেরও গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চরচে। ভিকটিম নারী সেনবাগ হাসপাতালে চিকিৎসাাধীন। ভিকটিমের স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাায়নি।’