নারীরাই এখন আওয়ামী লীগের শক্তি, তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে নারীদের ঝাপিয়ে পড়ার আহবান জানিয়েছেন মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী সাফিয়া খাতুন।
শনিবার (২৭ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মেজবান ও আলোচনা সভায় এ আহবান জানিয়েছেন তিনি।
সাতকানিয়া উপজেলার টাইম ক্যাফে চত্বরে এই আলোচনা সভা ও মেজবান আয়োজন করা হয়। মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাফিয়া খাতুন বলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী বলেই এ দেশের নারীরা সম্মানিত হয়েছে। তিনি নারীদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, বৃদ্ধ নারীদের এই সরকার বিশেষভাবে সহযোগিতা করছে। নারীরাই এখন আওয়ামী লীগের শক্তি। গ্রামগুলোকে জননেত্রী শেখ হাসিনা শহর গড়ার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন আজ তা বাস্তবে রুপ পেতে শুরু করেছে।’
সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় নারী জাগরণ তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে সাফিয়া খাতুন বলেন, ‘এই দুই উপজেলায় নারীরা আজ আওয়ামী লীগের ছায়াতলে এসেছে। এই অঞ্চকে একসময় স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠীর অপপ্রচার ও হুমকির কারণে নারীরা ছিল ঘরবন্দী, অবহেলিত। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে মুল ভূমিকা পালন করেছেন রিজিয়া রেজা চৌধুরী।’
তিনি বলেন, ‘আমি একবার চকরিয়া সফরে গিয়েছিলাম। ফেরার আগে রিজিয়া রেজা চৌধুরী আমাকে জানালেন এলাকার নারীদের সঙ্গে দেখা করাবেন। আমি সম্মতি দিলাম। সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার নয়টি ইউনিয়নে তিনি পথসভার আয়োজন করেছিলেন। সেদিন প্রত্যেকটি পথসভায় কমপক্ষে পাঁচ শ’ নারী অংশ নিয়েছিলো। আমি সেদিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, রিজিয়া রেজাকে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিব। তার হাতে আওয়ামী লীগ ও দল সংঘটিত হয়েছে। তার সাংগঠনিক দক্ষতা প্রবল। আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তার সাথে কাজ করবেন।’
সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী সম্পর্কে সাফিয়া খাতুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নদভী সাহেবকে অনেক পছন্দ করেন। কারণ তিনি একজন ইসলামিক স্কলার। তার হাত ধরে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় আল্লাহ’র ঘর মসজিদ নির্মিত হয়েছে। যে ব্যক্তি মসজিদ বানায় তিনি কত বড় মনের মানুষ তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। তার হাত ধরেই এই অঞ্চলে ঐতিহাসিক উন্নতি ঘটেছে৷ সরকারি উন্নয়নের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও এই দুই উপজেলায় অভাবনীয় উন্নয়ন ঘটেছে। অতীতেও এমন উন্নয়ন এ আসনের মানুষ দেখেনি। আগামীতেও আপনারা নদভী সাহেবের সাথে থাকবেন। তাকেই ভোট দিবেন। শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ হাতে নিয়েছিলেন। সে দায়িত্ব তিনি পালন করেছেন।’
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি কোহিনুর হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুরাইয়া বেগম ইভা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সৈয়দা রাজিয়া মোস্তফা, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি দিলুয়ারা ইউসুফ, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য রোকসানা মেহেবুব চপলা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোয়ারা বেগম তামান্না, ইপফাত আরা, মালিহা জামান মালা, হাবিবা ইসলাম হ্যাপি, দক্ষিণ জেলা কমিটির সহ সভাপতি শাহিদা আক্তার জাহান, সাতকানিয়া উপজেলা সভাপতি হাসিনা মমতাজ, লোহাগড়া উপজেলা সভাপতি রেহেনা বেগম, সাতকানিয়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আনজুমান আরা বেগম, লোহাগাড়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক জেসমিন আক্তার। সঞ্চালনা করেন লোহাগাড়া বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান মিজান ও মহিলা আওয়ামী লীগ হোসনে আরা বেবি।
অনুষ্ঠানে দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন লোহাগাড়া উপজেলা মডেল মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মো. আব্দুল গফুর।