“নারীর কাজ সন্তান জন্ম দেওয়া, মন্ত্রীত্ব করা নয়” বলল তালেবান মুখপাত্র সাইদ জিকরুল্লা। আফগানিস্তানের প্রথম সংবাদভিত্তিক চ্যানেল টোলো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন সব মন্তব্য করে তালেবান মুখপাত্র সাইদ জিকরুল্লা। নারী অধিকার ক্ষুন্ন করা নিয়ে দেশজুড়ে আফগানী নারীদের প্রতিবাদ ও নিন্দার মুখে এ মন্তব্য করলেন তালেবানের এ মুখপাত্র।
টোলো নিউজের সাক্ষাৎকারে তালেবান মুখপাত্র সাইদ জিকরুল্লাহ হাসিমির কাছে মন্ত্রিসভায় কোনো নারী না রাখার কারণ জানতে চাওয়া হয়। জবাবে সাইদ জিকরুল্লাহ বলেন, ‘নারীরা মন্ত্রী হতে পারে না, মন্ত্রীত্ব এমন কিছু নয় যা নারীদের গলায় পরিয়ে দেওয়া হলো, কিন্তু তারা ভার নিতে পারলো না। আফগান মন্ত্রিসভায় নারীদের থাকার কোন প্রয়োজন নেই, তাদের উচিত সন্তান জন্ম দেওয়া। বিক্ষোভকারী নারীরা আফগানিস্তানের নারীদের প্রতিনিধি নয়।’
‘নারীরা সমাজের অর্ধেক’ টোলো নিউজের সাংবাদিকের এ প্রশ্নে হাসিমি বলেন, ‘কিন্তু আমরা তো নারীদের অর্ধেক মনে করি না। কোন ধরনের অর্ধেক? অর্ধেক শব্দটিই ভুল। অর্ধেক মানেই নারীদের মন্ত্রিসভায় রাখতে হবে এমন কিছুই নয়। আর যদি নারীদের অধিকার হরণ করেন, তাহলেও কিছু হবে না।’’
তালেবানরা আফগানিস্তানে নব্বইয়ের দশকের প্রথমার্ধে ক্ষমতায় এসে নারীদের ঘরবন্দি করে ফেলে। ক্ষমতা দখলের পর এবারও তালেবানরা নারীদের উপর কড়াকড়ি শুরু করেছে। সরকারী মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সব পুরুষদের দেওয়া হয়েছে। কোনো নারী স্থান পায়নি মন্ত্রনালয় কিংবা সরকারী কোন পদে। আফগান নারীরা প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল ও বাদাখশান প্রদেশে এ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
২০২১ সালের গত ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে বারবার নারী অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তালেবানের তরফ থেকে। শরীয়া আইন অনুযায়ী তালেবানরা নারী অধিকার রক্ষা করবে এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও গত সপ্তাহে ঘোষিত নতুন মন্ত্রিসভায় কোনো নারী প্রতিনিধি রাখা হয়নি।