সাইকেল র্যালি, গান, আবৃত্তিসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে উঠেছিলেন চট্টগ্রামের নারীরা। নারী দিবস উপলক্ষে উদ্যোক্তা চট্টগ্রাম, ইন্সপায়ার চট্টগ্রাম এবং লাইফ ফর লাইফের যৌথ উদ্যোগে নারীদের সাইকেল র্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল করোনাকালে নারী নেতৃত্ব গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব।
চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন দৈনিক আজাদীর সিনিয়র সাব-এডিটর ইয়াসমিন ইউসুফ,চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি জাবেদ আফসার চৌধুরী,যুবনেতা হেলালউদ্দিন চৌধুরী,শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান জাহাঙ্গীর, ইন্সপায়ার চট্টগ্রাম এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাজ্জাত হোসেন, উদ্যোক্তা চট্টগ্রামের এডমিন নারী নেত্রী সোনিয়া আজাদ, লাইফ ফর লাইফের চেয়ারম্যান আনিস ওয়ারেচী, ফ্যাশন ফর লাইফের সমন্বয়ক ডা. মহিউদ্দিন মাসুম,ইন্সপায়ার চট্টগ্রাম এর পরিচালক জাওয়েদ চৌধুরী, সাদ শাহরিয়ার ও রোমানা আক্তার।
বর্ণাঢ্য সাইকেল র্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন অতিথিরা। এতে নারীদের পাশাপাশি সংহতি প্রকাশ করে পুরুষেরাও অংশগ্রহন করেন। র্যালি শেষে দ্বিপান্বিতা চৌধুরীর নাচের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
মোহাম্মদ রাকিবউদ্দিনের পরিচালনায় ও হৈমন্তী আক্তারের সঞ্চালনায় নারী দিবসের কবিতা আবৃত্তি করেন প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের রোমেনা আফাজ রুমি, মৌসুমী চক্রবর্তী, জাইমা ওয়াসির শশী। এছাড়াও মনোটোনাস আবৃত্তি সংগঠনের সাদ হাসান,স্বদেশ আবৃত্তি সংগঠনের নুরসাত জাহান পুস্প, ত্রিতরঙ্গের দীপা শীল,কন্ঠনীড়ের দীপান্বিতা চৌধুরী ও এন্জেলা একটি করে আবৃত্তি করেন।
এছাড়াও নাচ পরিবেশনা করে সুরাঙ্গণ বিদ্যাপীঠ নৃত্য একাডেমির সৌরভী দাশ তিথি,নুসরাত মাশরাফি নূর,অনিন্দিতা দাশ পূজা,পূর্ণতা দে। আরফাত মেজবাহ রাকীবের কোরিওগ্রাফিতে ময়ুরাক্ষীর পোশাকে পোষাক প্রদর্শন করে উইন্ডোজ মাল্টিমিডিয়া গ্রুমিং ইন্সটিটিউট।
অনুষ্ঠানে অতিথি ইয়াসমিন ইউসুফ বলেন, নারীরা এগিয়েছে অনেক দূর। তবুও কুসংস্কার ও কোন কোন ক্ষেত্রে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা তাদের সমতার ক্ষেত্রে অন্তরায়। নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের ভূমিকাও এজন্য জরুরি।
ইন্সপায়ার চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাজ্জাত হোসেন বলেন, নারীদের আত্মরক্ষা ও স্বনির্ভর করতে ইন্সপায়ার চট্টগ্রাম কাজ করছে, যা নারী নেতৃত্ব বিকাশে সহায়ক।
উদ্যোক্তা চট্টগ্রামের অ্যাডমিন সোনিয়া আজাদ বলেন, নারীদের পিছিয়ে পড়ার জন্য যে সমস্ত অনুঘটক দায়ী তার মধ্যে অন্যতম ছিল নারী শিক্ষা অপ্রতুলতা। কিন্তু বর্তমান সরকারের সাহসী উদ্যোগ ও নারীদের অবৈতনিক শিক্ষা কার্যক্রমের কারণে তা লোপ পেয়েছে৷ এখন নারীরা সাবলম্বী।
লাইফ ফর লাইফ এর চেয়ারম্যান আনিস ওয়ারেচী বলেন, ‘নারী দিবস আসলেই নারীদের সম্মান দেখালে হবে না। আমাদের নিত্য দিনে চলার পথে নারীর প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সোনার বাংলা বিনির্মানে আমাদের সবার সম্মিলিত হতে হবে।
নারী প্রতি বিদ্বেষ নায় ভালবাসায় হোক আগামীর দিগন্ত।’
লাইফ ফর লাইফের সমন্বয়ক ডা. মহিউদ্দিন মাসুম তার বক্তব্যে বলেন, ‘নারী পুরুষ সমতার জন্য যে সচেতনতা দরকার তা কেবলমাত্র সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমেই সম্ভব। সুযোগের সমতা এখন সময়ের দাবি।’