আজ খুব অন্ধকার; বৃষ্টির কারণে।
পাহাড় দৃশ্যমান নয়। কেবল বৃষ্টির শব্দ। জীবন নিয়ে গেলো অন্তরালে।
এবং বৃষ্টির পাশাপাশি ঠান্ডা নেমে আসে।
আজ রাতে চাঁদ নেই, তারকা নেই।
বাতাস বয়েছিল রাতে;
সমস্ত সকালে গম-এর প্রতিপক্ষ এই কশাঘাত –
থেমে গেলো বিকেলে। কিন্তু ঝড় বয়ে যায়,
ডুবিয়ে দিল শুষ্ক প্রান্তর, অতঃপর বন্যা-
নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে পৃথিবী।
কিছুই দেখার নেই, এই বৃষ্টি
অন্ধকার জানালাগুলোর বিপরীতে ঈষৎ অস্পষ্ট কেবল
এ হলো বিশ্রামের স্থান, যেখানে কোনকিছুই সচল নয়–
যেখানে আমরা ছিলাম– সেখান থেকে ফিরে আসি,
অন্ধকারে পশুদের বসবাস
ভাষা বা দৃষ্টিবিহীন–
আমি যে জীবিত তার কোনো প্রমাণ নেই।
এখানে কেবল বৃষ্টি। বৃষ্টি অশেষ।
পৃথিবী ঘুমোতে যায় এক শিশুর মতো
অথবা এমন গল্প বয়ে যায়।
কিন্তু আমি ক্লান্ত নই, ইহা বলে।
এবং মা বলে, তুমি হয়তো ক্লান্ত নও, কিন্তু আমি ক্লান্ত
তুমি তা দেখতে পারো তার মুখাবয়বে, প্রত্যেকে পারে।
অতঃপর তুষারপাত হোক, ঘুম এসে যাক
যেহেতু মায়ের পীড়ায় মৃত্যুর দিকে তার জীবন এবং চায় নীরবতা।
লুইস গ্লাক ১৯৪৩ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। লং আইল্যান্ডে তার বয়োবৃদ্ধি।
তিনি লেখাপড়া করেন সারাহ লরেন্স কলেজ ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমেরিকার সাম্প্রতিক গুণবিচারী ও মনস্বী কবিদের অন্যতম তিনি।
প্রায়োগিক নৈপুণ্য, সংবেদন এবং নৈসঙ্গ, পারিবারিক সম্পর্ক, বিচ্ছেদ এবং মৃত্যুর অন্তর্দৃষ্টি গ্লাকের কবিতার প্রতিপাদ্য। তার কবিতা সম্পর্কে কবি রবার্ট হাস বলেন, ‘সবচেয়ে খাঁটি এবং চূড়ান্ত গুণান্বিত লিরিক কবিদের একজন এখন লিখছেন। তিনি এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। তার কবিতা অভ্রান্ত কাব্যিক কণ্ঠ,যা সাদামাটা সৌন্দর্য সৃষ্টি করে, ব্যাক্তিক অস্তিত্বের সর্বজনীনতায়।’
লুইস গ্লাকের সাম্প্রতিক কাব্য –ফেইথফুল অ্যান্ড ভেরিয়াস নাইট লাভ করে ‘ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড’। ‘পয়েমস’ পায় লস ‘অ্যাঞ্জেলেস টাইমস বুক প্রাইজ’।
লুইস গ্লাকের অন্যান্য কবিতার বইয়ের মধ্যে রয়েছে– দ্যা হাউস অব মার্শল্যান্ড, দ্য গার্ডেন, ডিসেন্ডিং ফিগার, অ্যা ভিলেজ লাইফ ইত্যাদি।
গ্লাক এখন ইয়েল ইউনিভার্সিটির ‘রাইটার ইন রেসিড্যান্স’ এবং বসবাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে।