নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কানিলপুর ইউনিয়নে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়ে। নির্যাতিতা মেয়েটির মায়ের অভিযোগের পর আজ রবিবার (১২সেপ্টেম্বর ২০২১) একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল ১৭ জুলাই ২০২১ সালে। জানা যায়, মেয়েটি যখন তার প্রাইভেট কোচিং ক্লাস থেকে বাড়িতে ফিরছিল তখন তাকে গণধর্ষণ করেছিল একই এলাকার দুই জন বখাটে যুবক।
আজ রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১) সকালে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু নির্জন দমন আইনের অধীনে মামলায় দুজনকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলা দায়েরের পর সকালেই সেনবাগ পুলিশ সিরাজুল হক মামুন (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মামুন একই উপজেলার পূর্ব কাবিলপুর গ্রামের মির্জাবাড়ির এনাম হোসেনের ছেলে। সে পেশায় দিনমজুর।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ১৭ জুলাই মামুন ও তার সহযোগী কামাল হোসেন সাদ্দাম চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীটিকে জোর করে একটি বাড়ির পেছনে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটি যখন তার প্রাইভেট কোচিং ক্লাস থেকে বাড়িতে ফিরছিল তখন তাকে গণধর্ষণ করেছিল মামুন ও সাদ্দাম। এক পর্যায়ে জানা যায় নির্যাতিত স্কুলছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। মেয়েটি প্রায় ১২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।
ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা (সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত আসামীকে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ’