ঘটনার শুরু হয়েছিল মাসখানেক আগে। তরুণী একটি ফেসবুকের বিক্রয় গ্রুপে মোবাইল ফোন বিক্রির পোস্ট দেন।
তরুণীর ফোনে থাকা ‘ন্যুড ছবি’ ফেসবুকে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে সাইবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল যুবক। তরুণীর অভিযোগ পেয়েই বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাফিদ নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে সাইবার পুলিশের একটি টিম। অভিযুক্তকে আটকের পর ভিকটিম তরুণী বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
সাইবার পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় একমাস আগে। তরুণী অভিযোগ করলে মাঠে নামে পুলিশ। পরে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ির দনিয়া এলাকায় অভিযুক্ত রাফিদের অবস্থান করার খবর পেলে গত রোববার (২৫ অক্টোবর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাফিদকে আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারার অধীনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন লামিয়া (ছদ্মনাম) নামের ওই তরুণী। গত একমাস আগে তিনি নিজের ব্যবহৃত মোবাইল সেট বিক্রি করতে ‘বাই অ্যন্ড সেল’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করেন। রাফিদ মোবাইল সেটটি দেখে শুনে কিনতে চাইলে তারা ঢাকার একটি রেস্ট্যুরেন্টে দেখা করেন। সেখানে মোবাইল সেটটি দেখে মোবাইলটির দামও ঠিক করেন তারা। রাফিদ বুথ থেকে তুলে টাকা দেওয়ার কথা বলে বাইরে গেলে মোবাইল সেটটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
অভিযোগে তরুণী জানান, ‘ব্লক করার পরও খুব বাজে ভাষায় বারবার ফেক আইডি থেকে মেসেজ পাঠায় রাফিদ। তুই কী করলি এটা। ব্লক করলি কে। সিন করার সাথে সাথে আনব্লক করে মেসেজ দিবি। এরপরই ঘটনাটি আমি সাইবার পুলিশকে জানাই। তার কিছুদিন পরে গ্রেপ্তার হল সে।’
তার কিছুদিন যেতেই একটি ফেক আইডি থেকে লামিয়ার কাছে ইনবক্স বার্তা আসে। মেসেজে লেখা হয় ১০ হাজার টাকা না দিলে ওই মোবাইলে থাকা ব্যক্তিগত ছবিগুলো ভাইরাল করে দেওয়া হবে। লামিয়া ওই আইডি ব্লক করেও নিস্তার পাননি। আরও একটি ফেক একাউন্ট খুলে লামিয়াকে টাকার জন্য নোংরা ভাষায় ন্যুড ভাইরাল করার হুমকি দেয় রাফিদ। এরপরই লামিয়া সাইবার পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে।
এ বিষয়ে অ্যডিশনাল পুলিশ সুপার (এসপি) কামরুল আহসান উইম্যানভয়েসবিডিকে বলেন, ‘সাইবার পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পেলেই অভিযানে নামে। কিছুদিনের মধ্যেই সাইবার পুলিশের টিম অভিযুক্ত রাফিদ জাহাঙ্গীর রোমানকে শনাক্ত করে । রোববার এএসপি জুয়েল চাকমার নেতৃত্বে সাইবার পুলিশের একটি টিম তাকে যাত্রাবাড়ির দনিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।’