চিত্র নায়িকা পরীমনির তিনবার পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুরের যৌক্তিকতা নিয়ে নিম্ন আদালতের দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া মামলার নথিপত্রসহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে হাজির হওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
রিমান্ড মঞ্জুরকারী ঢাকার সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের কি উপাদানের ভিত্তিতে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন এর ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়েছে। এর জবাব সন্তোষজনক না হলে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটদের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হবে।
একইসঙ্গে রিমান্ড চাওয়ার কারণ ও নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে নথিসহ (সিডি) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পরবর্তী আদেশের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর দিন রেখেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এদিকে এর আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে তিন দফায় সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার প্রেক্ষাপটে স্বতঃপ্রণোদিত রুল চেয়ে গত রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্টবেঞ্চে একটি আবেদন করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক।
আবেদন জানানোর পর আদালত বলেন, ‘রুল রিটার্ন (পরীমনির জামিন আবেদন শুনানি প্রশ্নে রুল) হয়ে আসুক, এরপর দেখব।’
গত ৩১ আগস্ট পরীমনিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত।
বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪ আগস্ট তাঁকে আটক করা হয়। পরে বনানী থানায় পরীমনির নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে র্যাব। এরপর তিন দফায় পরীমনিকে মোট সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সূত্র প্রথম আলো
১৯ আগস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। এর বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন পরীমনি। এই আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন রাখেন। পরদিন আবেদন ‘আর্লি হিয়ারিং’ বা নির্ধারিত সময়ের আগে শুনানি চেয়ে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। এতে ফল না পেয়ে ২২ আগস্টের ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে ২৫ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি।