দূর সম্পর্কের খালার বাসায় গিয়ে ধর্ষণ আক্রমণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। বারবার চিৎকার করেও খালার সাড়া পাননি তিনি। তরুণীর আর্তচিৎকারে খালা সাড়া না দিলেও পাশে থাকা শ্রমিকরা থানায় খবর দেয়য। পুলিশ এসে তরুণীর খালাসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল বিভাগের পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থানার লক্ষ্মীপুরা মহল্লার। গ্রেপ্তারকৃতরা হল সোহেল মুন্সী (২৬) ও ফিরোজা বেগম (৪৫)।
ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ জানায়, ভিকটিম তরুণী কলেজ পড়েন। কলেজ আসা যাওয়ার পথেই ফিরোজা বেগমের বাসা হওয়ায় তার সাথে তরুণীর সুসম্পর্ক ছিল। তরুণীর জরুরি কিছু সার্টিফিকেট রক্ষিত ছিল ওই ফিরোজা বেগমের বাড়িতে। সেগুলো আানতে সোমবার ফিরোজার বাড়িতে যায় তরুণী। তাকে রাতে থাকতে অনুরোধ করে ফিরোজা বেগম। মঙ্গলবার সকালে সেখানে অতর্কিতভাবে প্রতিবেশী যুবক সোহেল প্রবেশ করে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তরুণী চিৎকার করলেও ফিরোজা বেগম সাড়া দেননি। পরে পাশে থাকা শ্রমিকরা ছুটে আসে ও ৯৯৯ এ ফোন করে। পুলিশ এসে দুজনকে হেফাজতে নিয়ে তরুণীকে বাড়ি পৌঁছে দেয়।
পুলিশ বলছে মেয়েটি দরিদ্র ঘরের। সেটি জেনেই এমন পরিকল্পনা আঁটে ফিরোজা বেগম
পরে তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় অভিযুক্ত সোহেল মুন্সী ওই এলাকার মফিজুর রহমান মুন্সীর ছেলে। অপর অভিযুক্ত ফিরোজা বেগম উপজেলার দক্ষিণ শিয়ালকাঠী গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। ফিরোজা বেগম পৌরসভার লক্ষ্মীপুরা মহল্লায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছি ফিরোজা বেগম (৪৫) ও সোহেল মুন্সী প্রতিবেশী। ফিরোজা বেগম প্রত্যক্ষভাবে মেয়েটিকে ধর্ষণে সাহায্য করেন। ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ফোর্স পাঠাই। গ্রেপ্তারকৃতদের কাল সকালে আদালতে পাঠানো হবে।