নিজের পিতার হাতে ধর্ষণের শিকার হল দুই মেয়ে। পেশায় বৈদ্য (জাদু-টোনা) ওই পিতা বৈদ্যালি শেখানোর নাম করে নিজের দুই মেয়েকে ধর্ষণ করে বলে জানা গেছে। ভিকটিম দুই মেয়ে এখন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন। ধর্ষক পিতার নাম শফিকুর রহমান প্রকাশ শফিক বৈদ্য। সে পেকুয়ার পূর্ব টৈটং সোনাইছড়ি রমিজ পাড়ার মৃত নুরুল আনোয়ার প্রকাশ টুনু মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ মামলা দায়ের হয়েছে। শফিক বৈদ্যের তৃতীয় স্ত্রী কাউছারা বেগম (৩৩) বাদি হয়ে বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) (মামলা নম্বর: সিপি-১৫৬/২০) মামলাটি দায়ের করেন। আদালত আমলে নিয়ে মামলাটি তদন্তের ভার দিয়েছেন সিআইডিকে। মামলার অভিযোগের প্রাথমিক শুনানি শেষে ডাক্তারি পরীক্ষাসহ সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক জেবুন্নাহার আয়েশা। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পিপি অ্যাডভোকেট একরামুল হুদা।
ভিকটিম দুই মেয়ের একজন কাউছারা বেগমের নিজের মেয়ে অন্যজন শফিক বৈদ্যের অন্য স্ত্রীর মেয়ে। গত ৩১ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর নিজের বাড়ির পাশে সেমি পাকা বৈদ্যালির আসন ঘরে এ ঘটনাটি ঘটে।
বাদি কাউছারা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ‘আমার স্বামী বৈদ্যালির নামে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এছাড়াও তার ব্যক্তিগত চরিত্রও খারাপ। পূর্বের দুটি স্ত্রী থাকলেও অনেকটা বশে এনে বিয়ে করে আমাকে। তার অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তাকে বেশ কয়েকবার মারধর করে স্বামী শফিক বৈদ্য।’
কাউছারা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীর চরিত্র খারাপ এটি অনেকটা সবাই জানে এমন ব্যপার। এবার সে একে একে নিজের দুই মেয়েকেই ধর্ষণ করেছে। আমি মামলা করায় ও ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ায় সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। মেয়েদের ও আমাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে শফিক বৈদ্য। দুই মেয়েসহ চার সন্তান নিয়ে আমি ঘরছাড়া।’
অ্যাডভোকেট একরামুল হুদা বলেন, ‘নিজের ঔরষজাত দুই মেয়েকে বৈদ্যালি শেখানোর কথা বলে ধর্ষণ করেছে ওই নির্লজ্জ পিতা৷ মামলা করার দুই মেয়েসহ ও চার সন্তান নিয়ে এলাকাছাড়া শফি বৈদ্যের দ্বিতীয় স্ত্রী কাউছারা বেগম ।’