বাংলালিংকের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ দেওয়ার কথা বলে ঢাবি পড়ুয়া এক তরুণীকে ‘প্রডিওসারের সাথে সেক্স করতে হবে’ বলে নোংরা প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা আয়নাবাজিখ্যাত অমিতাভ রেজার বিরুদ্ধে। ঢাবি পড়ুয়া ওই তরুণী নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে স্টেটাস দিয়ে এ অভিযোগ উত্থাপন করেন।
অন্যদিকে তরুণীর স্টেটাস প্রচারের কিছু সময় পরেই নির্মাতা অমিতাভ রেজা তার ভেরিফাইড আইডি থেকে স্টেটাস দিয়ে জানান, ‘স্ক্রিনশটে যে ফেসবুক একাউন্টটি দেখতে পাচ্ছেন এটা একটা ফেইক/ভুয়া একাউন্ট। আমার নামে খোলা এমন অনেক ভুয়া একাউন্টে ফেসবুক এখন সয়লাব। অনেকে আমার সাথে যোগাযোগ করতে চেয়ে এই সমস্ত ভুয়া একাউন্ট দ্বারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। আমার পরিচয় ব্যবহার করে এই সব ভুয়া একাউন্ট থেকে যারা অন্যদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেন; অনুরোধ করব এই কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকুন। আর সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, এই সব ভুয়া একাউন্ট থেকে দূরত্বে থাকুন এবং ফেইক একাউন্ট হিশাবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করুন। যারা এইভাবে আমার নামে ভুয়া একাউন্ট পরিচালনা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমি যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেব। আবারও বলছি, আমি এই একটি ভেরিফাইড একাউন্টই আমি পরিচালনা করি। অন্য কোন একাউন্টে আমাকে খুঁজবেন না।’
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10164310275230375&id=533750374
ঘটনার শিকার তরুণী উইম্যানভয়েসবিডিকে বলেন, ‘আয়নাবাজি দেখার পর থেকে বলতে গেলে তার ভক্ত ছিলাম। তার সাথে অনেকবার ইনবক্সে আলাপও হয়েছিল। তিনি আমাকে মডেলিং করতে প্রস্তাব দেন। আজ আমি ফেসবুকের ‘মাই স্টরি’-তে ক্লিভেজ দেখা যায় এমন একটি ছবি দিই। এরপরই তিনি আমাকে বাংলালিংকের বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজের প্রস্তাব দেন। আমি সায় দিলেই তিনি আমাকে বলেন-‘প্রডিওসারের সাথে সেক্স করতে হবে।’ আমি ‘না’ বলার পরই তার দুটো আইডি থেকেই আমাকে আনফ্রেন্ড করে দিয়েছেন।
ঢাবি শিক্ষার্থী ওই তরুণী আরও বলেন, ‘অমিতাভ রেজার দুটো আইডিতেই দেড় বছর থেকেই যুক্ত আছি। এছাড়াও তিনি আমাকে স্টুডিও থেকে ভিডিও কল দিয়েছিলেন। ওই আইডিটি ফেক নয়। সেটির ব্যবহারকারীও স্বয়ং অমিতাভ রেজাই।’
তরুণী বলেন, ‘আমি স্টেটাস দেওয়ার পর আরও মেয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করেছে। তিনি আরও মেয়েদের সাথেও একই ঘটনা ঘটিয়েছেন। অন্যান্য তথ্য প্রমাণসহ শীঘ্রই আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
ওই তরুণীর স্টেটাসটি উইম্যানভয়েসবিডির পাঠকের জন্য অবিকল তুলে ধরা হল-
অমিতাভ রেজা চৌধুরী!
তার ফ্যান ফলোয়ার এর অভাব নাই নিশ্চয়ই। আয়নাবাজি দেখার পর আমিও তার মোটামুটি ফ্যান বলা চলে।কয়েক বছর হইলো উনি আমার লিস্টে রয়েছেন। কয়েকবার আলাপ হয়েছে ক্যাম্পাস লাইফ নিয়ে।
আজ হঠাত আমার ডে’র ক্লিভেজ বের করা ছবি দেখে আমাকে নক দ্যান তিনি( যেটা আমি প্রথমে খেয়াল করিনাই)
তারপর শ্যুটের অফার দিলো এবং বাকি কথা সব স্ক্রিনশটে দেয়া আছে। দ্যাখেন!যারা বলছে এটা তার ফেইক আইডি, তার ভেরিফাইড আইডি আছে তাদের জন্য ব্রো তার সাথে আমার ভিডিও কলেও কথা হয়েছে যার স্ক্রিনশটও দিলাম।
তার দুইটা আইডিই আমার লিস্টে ছিলো।
এরপর সে আমাকে শ্যুট এর জন্য অনেক কিছু বললো; বাংলালিংক এর বিশাল শ্যুট, বিলবোর্ড হবে ব্লা ব্লা।তারপর শর্ত হিসেবে বললো আজকে প্রডিউসারের সাথে সেক্স করতে হবে!
না করে দিলাম যার কারণে দুইটা আইডি থেকেই আনফ্রেন্ড মারলো।
ঢাবি শিক্ষার্থী তরুণীর দ্বিতীয় স্টেটাসটি
‘আমি প্রথমেই বলেছি অমিতাভ রেজার সাথে আমার আগেও কথা হয়েছে।
তার দুই অ্যাকাউন্ট থেকেই কথা বলেছেন তিনি আমার সাথে, হ্যা ভ্যারিফাইড অ্যাকাউন্ট থেকেও কথা হয়েছে। সেই স্ক্রিনশটও দিবো, গোছায়ে নেই।আমার এই পোস্ট ছড়ানোর সাথে সাথেই তিনি ভ্যারিফাইড অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট দিয়েছেন যে এটা তার নামে খোলা ফেইক আইডি।
আমার ভুল হয়েছে যে আমি ভিডিও কলের স্ক্রিনশট রাখিনি।
তিনি আমাকে ভিডিও কল দিয়ে যাচ্ছিলেন, আমি তখন রান্না করছিলাম।
আমি বললাম, আমি কেবলই ঘুম থেকে উঠেছি।এখন কিভাবে সম্ভব?তিনি বললেন যে তিনি আমার র ফেইসই ফেখতে চান।
তারপর রুমে এসে আমি তার কল পিক করার পর কলে এসে তিনি আমাকে কিছুক্ষণ দেখলেন।
আমি হাই দিলাম তাকে; তখন সে কথার উত্তর না দিয়ে আশেপাশে ক্যামেরা ঘুরিয়ে স্টুডিও দেখিয়ে ইশারায় বললেন,কথা বলা যাবেনা।
তারপর কল কেটে দিলেন।এটা কোনোভাবেই তার ফেইক আইডি না।
ইভেন আমি এই পোস্ট দেয়ার পর আমার কাছে ৬/৭ জন মেসেজ দিয়ে তার বেপারে এইসব বলছে। অনেকের হাত কাঁপছে, তারা বলতে পারছেনা। কিন্তু আমাকে দেখে নাকি তারা বলার সাহস পাচ্ছে।
আমি সেইসব স্ক্রিনশটও গুছিয়ে নিচ্ছি,তাদের সাথে অমিতাভের চ্যাটগুলো।
ফেইক আইডির নাম করে সব জায়গায় লুচ্চামি করা বের করছি ওনার!’