মোবাইল ফোনে পরিচয় পরে গড়ে ওঠে প্রেম, কিশোরগঞ্জের ছেলে আজহারুল ইসলাম নরসিংদীর তরুণীকে দেখা করতে ডেকে এনে ধর্ষণ করে । এমন অভিযোগে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু দমন আইনের মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিম তরুণী।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল ২০২২) মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে থানার এসআই চন্দন কুমার পালকে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ।
ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন আজহারুল ইসলাম (২২)ও তার বন্ধু রাজ মিয়া(২৫) । ”কথিত প্রেমিক” আজহারুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের দনাইল গ্রামের আসাদ মিয়ার ছেলে। আজহারুলের বন্ধু রাজন মিয়া (২৫) একই এলাকার আব্দুল কাদিরের ছেলে । এজাহারের একটি কপি র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. শাহরিয়ার মাহমুদ খানও পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের সঙ্গে মাসখানেক আগে মোবাইলফোনে আজহারুল ইসলামের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায়ই তাদের মধ্যে মোবাইলে কথা হতো। গত ৫ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে আজহারুল ওই তরুণীকে নিয়ে ঘোরাফেরা করার জন্য কিশোরগঞ্জ আসতে বলেন।
মেয়েটি সরল বিশ্বাসে বাসযোগে এদিন বিকেল ৫টায় কিশোরগঞ্জের নতুন কারাগার মোড়ে এসে নামেন। সেখানে আজহারুল ও তার বন্ধু রাজনের সঙ্গে দেখা হয়। এরপর তারা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করার পর আজহারুল ওই তরুণীকে তার বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দনাইল গ্রামে জামাল মিয়ার ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে রাজনের সহায়তায় একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
এ সময় রাজন ঘটনাস্থলের অদূরে পাহারায় নিয়োজিত ছিলেন। পরদিন বুধবার সকাল ৬টার দিকে ওই তরুণীকে এলাকার রাস্তায় ফেলে আজহারুল ও রাজন পালিয়ে যান। ওই তরুণী এলাকাবাসীকে ঘটনাটি জানালে তারা মেয়েটিকে একই গ্রামের নাঈমের স্ত্রী রেশমা আক্তার রুমার জিম্মায় রাখেন।
পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় বৃহস্পতিবার মেয়েটি বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় আজহারুল ও রাজনকে আসামি করে মামলা করেন।