বিয়ের এক বছরের মাথায় পরকীয়া সন্দেহে আটমাসের অন্তসত্ত্বা স্ত্রীকে খুন করেন মানিকগঞ্জের সিরাজুল। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে মারধর করতেন তিনি। ১৯ বছর বয়সী বধূ জুলেখার মৃত্যুর পর তার বাবা বাদি হয়ে মামলা দায়েরের পর থেকে পলাতক সিরাজুল। ওই হত্যা মামলায় সিরাজুলের ফাঁসির রায় হয়। ২০০৩ সালে খুনের ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন খুনী সিরাজুল।
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জুলেখা বেগম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সিরাজুল ইসলামকে (৩৯) প্রায় ১৯ বছর পর গত বুধবার নারায়ণগঞ্জের চর সৈয়দপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০২ সালের জুলাই মাসে মানিকগঞ্জের বাহের চর এলাকার সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে একই জেলার উত্তর জামশা গ্রামের জুলেখা বেগমের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর পরোকীয়া সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ তোলেন সিরাজুল। স্ত্রীকে মারধর করেন।
২০০৩ সালের ডিসেম্বরে সিরাজুল তার আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জুলেখাকে মানিকগঞ্জ শহরে নিয়ে যান চিকিৎসার কথা বলে। রাতে সেখান থেকে ফেরার পথে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে স্ত্রীর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল জলিল বাদি হয়ে সিংগাইর থানায় সিরাজুলসহ সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় সিরাজুলের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এরপর থেকে সিরাজুল প্রায় ১৯ বছর পলাতক ছিলেন।