জন্ম থেকেই বিরল একটি জিনগত ব্যাধিতে ভুগছেন মেলেনি। অ্যক্টোডার্মাল ডিসপ্লাসিয়া নামের জিনের কারণে তার চুল, দাঁত, নখ ও হাড়ের বৃদ্ধি হয়নি। তার সামনে একটি অবমাননার হতাশ হওয়ার জীবন থাকলেও তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শারীরিক বৈকল্য তাকে সীমাবদ্ধ রাখবে না।
মেলেনি গিডোস মার্কিনি সফল মডেল। তিনি বলেন, আমার প্রাকৃতিক শরীর কোনভাবেই লজ্জার নয়। এ নিয়ে আমি মোটেও বিরক্ত নই। হ্যা আমি নিজে কয়েকবার ডেন্টাল সার্জারি করতে চেয়েছি। পরে আমি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেই আস্থা রেখেছি। এটি আমাদের সবার জন্য একটি আত্মবিশ্বাসের জরুরি পাঠ। নিজে যেমনই হই নিজেকে মেনে নেওয়া ও স্বচ্ছন্দ থাকা।
‘আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন থেকেই আমার ঝোঁক ছিল সেল্ফ পোট্রেটে। যেন নিজেকে আঁকতে চেয়েছি নিজেই। তখন উইগ পরতাম। তবে পরে আমি উপলব্ধি করি জীবনের কাছে যা পেয়েছি তাকেই ধন্য হয়ে বরণ করি। নিজেকে আমি মিনিমালিস্টিক বলতে চাই। বেঁচে থাকতে হলে যেটুকু দরকার ওই ন্যুনতম অংশ নিয়েই আমি ভাল থাকি।’
৭ বছর আগে একজন ফ্যনের চিঠি পেয়ে মেলেনির কাছে এসেছিলেন বিখ্যাত ফটোগ্রাফার ইউজিনিউ রেকুয়েংকু। অনন্য সুন্দরী মেলানি গিডোজকে এভাবেই প্রথম আবিস্কার করেছিলেন বিখ্যাত এই মডেল ফটোগ্রাফার।
এরপরেই নিজের একটি র্যমস্টেইন মিউজিক ভিডিওতে কাস্ট করে নিয়েছিলেন মেলানি গিডোজকে। তাঁকে আর পেছন ফিরে দেখতে হয়নি। মেলেনি এখন মার্কিন ফ্যাশন দুনিয়ার সফল মডেল।
সবুজ স্কিন মেকআপে মাথা দুলিয়ে দেওয়া তার ফটোপোজ দেখে মনে হয় যেন দুষ্টুভাবে বলছেন ‘হ্যা। আমি ভিন্ন গ্রহ থেকে এসেছি।’
সফল এ মডেল এখন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের সিয়াটলে বাস করেন।