মাকে স্যরি লিখেই আত্মহত্যা করল ছেলেটি। চিঠিতে লেখা ছিল, ‘আমি এএসএম মিরাজুল ইসলাম (তুষার) সজ্ঞানে-স্বেচ্ছায় নিজের সম্পূর্ণ ইচ্ছায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিলাম। এই আত্মহত্যার পেছনে কারো এক বিন্দু পরিমাণ কোনো দোষ নেই। স্যরি মা। রাত ১২টা ৪০ মিনিট।’
এমনই করুণ এক আত্মহননের ঘোষণাপত্র লিখে যে ছেলেটি নিজের প্রাণ নিল তার নাম এএসএম মিরাজুল হাসান তুষার (৩০)। পেশায় মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ওই যুবক বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার পর আত্মহত্যা করেন। চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের সাদেক আলী মল্লিকপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত এএসএম মিরাজুল হাসান তুষার ওই পাড়ার আবেদ হাসানের ছেলে এবং স্থানীয় ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হম মেমোরিয়াল কমিউনিটি সেন্টারের মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে নিজ বাড়ির একটি কক্ষে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় ছেলের মৃতদেহ দেখতে পান তার মা তরুলতা। পরে পুলিশে খবর দিলে সদর থানা পুলিশ নিহত তুষারের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে।
নিহতের মা জানান, কিছুদিন ধরে ছেলে মিরাজুর বাড়িতে চুপচাপ থাকত। কারো সাথে কথা বলতো না। সে সম্ভবত বিষণ্ণতায় ভুগছিল।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খাঁন বলেন, বিষণ্ণতার কারণে তুষার আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছি। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।