উইম্যান ভয়েস
  • ভিডিও ·
  • ইন্টেরিয়র ·
  • ফ্যাশন ·
  • বাজার ·
  • রান্না ·
  • সাজগোজ
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • নারী প্রতিদিন
    • নারীবাদ
    • রাজনীতি
    • নারী বিশ্ব
    • পুরুষপক্ষ
    • ক্যাম্পাস-পড়াশোনা
    • সারভাইভর স্টোরি
    • বিজনেস
    • আইন আদালত
    • ক্যারিয়ার-চাকরি
    • আইনি পরামর্শ
    • অপরাধ
    • খেলা
    • ধর্ম কথা
  • লাইফস্টাইল
    • বেড়ানো
    • ইন্টেরিয়র
    • ফ্যাশন
    • কেনাকাটা-বাজার
    • রান্না
    • সাজগোজ
  • সম্পর্ক
    • স্বীকারোক্তি
    • কানে কানে
    • পজেটিভ প্যারেন্টিং
  • স্বাস্থ্যকথা
    • ফিটনেস
    • মাতৃত্ব
    • মানসিক স্বাস্থ্য
    • শরীর স্বাস্থ্য
    • শিশুর যত্ন
  • বিনোদনের জগৎ
    • টেলিভিশন
    • ঢালিউড
    • বলিউড
    • বিবিধ
    • মঞ্চ
    • হলিউড
  • সাহিত্য
    • কবিতা
    • গল্প
    • প্রবন্ধ
    • বিবিধ
  • English
কোনো ফলাফল নেই
সব ফলাফল দেখুন
  • নারী প্রতিদিন
    • নারীবাদ
    • রাজনীতি
    • নারী বিশ্ব
    • পুরুষপক্ষ
    • ক্যাম্পাস-পড়াশোনা
    • সারভাইভর স্টোরি
    • বিজনেস
    • আইন আদালত
    • ক্যারিয়ার-চাকরি
    • আইনি পরামর্শ
    • অপরাধ
    • খেলা
    • ধর্ম কথা
  • লাইফস্টাইল
    • বেড়ানো
    • ইন্টেরিয়র
    • ফ্যাশন
    • কেনাকাটা-বাজার
    • রান্না
    • সাজগোজ
  • সম্পর্ক
    • স্বীকারোক্তি
    • কানে কানে
    • পজেটিভ প্যারেন্টিং
  • স্বাস্থ্যকথা
    • ফিটনেস
    • মাতৃত্ব
    • মানসিক স্বাস্থ্য
    • শরীর স্বাস্থ্য
    • শিশুর যত্ন
  • বিনোদনের জগৎ
    • টেলিভিশন
    • ঢালিউড
    • বলিউড
    • বিবিধ
    • মঞ্চ
    • হলিউড
  • সাহিত্য
    • কবিতা
    • গল্প
    • প্রবন্ধ
    • বিবিধ
  • English
কোনো ফলাফল নেই
সব ফলাফল দেখুন
উইম্যান ভয়েস
কোনো ফলাফল নেই
সব ফলাফল দেখুন

মাতৃত্বের জন্য নারীকেই ছাড়তে হয়,পুরুষকে কিছুই ছাড়তে হয় না পিতৃত্বের জন্য

সত্তরের দশকে যুক্তরাজ্যে ‘ফ্যামিলিস নিড ফাদারস’ নামে একটি সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়, যা নারীর ওপর আরোপিত মাতৃত্বের মিথকে চ্যালেঞ্জ করে

সাদিয়া নাসরিন by সাদিয়া নাসরিন
১২ জুলাই ২০২২
0
মাতৃত্বের জন্য নারীকেই ছাড়তে হয়,পুরুষকে কিছুই ছাড়তে হয় না পিতৃত্বের জন্য
Share on Facebook

নারীবাদী গবেষক জুলিয়েট মিচেলের বিখ্যাত উক্তি, “Maternity Necessitates Withdrawal from Work”-এর মর্মান্তিক বাস্তবতার সাথে এই দক্ষিণ এশিয়ার, বিশেষ করে বাংলাদেশের ‘মা’ হওয়া প্রতিটি মেয়েই একাত্ম হতে পারে। যখন নারী রোজগার করতে চায়, আঁকতে চায়, লিখতে চায়, গাইতে চায়, নাটক করতে চায়, কাজ করতে চায়, ঘুরতে চায়, মাতৃত্বের জন্য তাকে সব ছাড়তে হয়।

সত্তরের দশকে যুক্তরাজ্যে ‘ফ্যামিলিস নিড ফাদারস’ নামে একটি সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়, যা নারীর ওপর আরোপিত মাতৃত্বের মিথকে চ্যালেঞ্জ করে

নারীকেই কেবল ছাড়তে হয় মাতৃত্বের জন্য, পুরুষকে ছাড়তে হয় না কিছুই পিতৃত্বের জন্য। যে মেয়েরা সৃজনশীল বা গঠনমূলক কাজ করতে চায়, যাদের মেধা বিকাশের মতো গুণ ও প্রতিভা আছে, তাদের কাছে এখনও সন্তান পালনের বাধ্যবাধকতার চেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা আর কিছু নেই।

স্বামী বা পরিবারের বাধা হয়তো মনের জোরে বা অর্থনৈতিক সক্ষমতার জোরে কাটানো যায়, কিন্তু প্রতিটি মেয়ের কাছেই অলঙ্ঘনীয় বাধা সন্তানের প্রতি ভালোবাসা। এই ভালোবাসার কারণেই একটি সন্তানকে অর্জন করতে একজন মাকে অন্তত পাঁচ বছরের ত্যাগের মূল্য দিতে হয়।

এই ত্যাগ শারীরিক পরিশ্রম, মানসিক চাপ, কর্মজীবনে ঝরে পড়া আর নিজস্ব বিনোদন বিসর্জনের সমষ্টি। যে কোনও নারীর জন্যই শিশু নিঃসন্দেহে এক মধুর অভিজ্ঞতা, কিন্তু গর্ভধারণ ও সন্তান পালন যখন বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে তখন তা মর্মান্তিক হয়ে ওঠে। মাতৃত্বের কষ্ট কখনও সুখের হয়তো, কিন্তু নিশ্চিতভাবেই সর্বগ্রাসী।

 

আমরা যারা বাইরে কাজ করি বা যে কোনও গঠনমূলক কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে চাই, তারা সবাই প্রতিদিন নিজের ভেতরে বিভিন্ন রকমের ভূমিকার মধ্যে ‘কনফ্লিক্ট’ এর শিকার হই। যে ভূমিকাটির সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ হয় তা হলো মাতৃত্বের। একদিকে বাচ্চার নিরাপত্তা, অন্যদিকে নিজের অন্যান্য সামাজিক-অর্থনৈতিক ভূমিকা পালন। বাধ্যতামূলক সন্তান পালনের দায়িত্বের সঙ্গে অন্যান্য দায়িত্বের এই সংঘর্ষ নারীর জন বেদনার, ক্লান্তিকর এবং নিরন্তর বিষণ্ণতার।

সে বেদনার অভিজ্ঞতা আমরা শুনতে পাই নারীবাদী লেখক, তিন সন্তানের মা এড্রিয়েন রিচের দিনযাপনের বর্ণনায়, ‘বহুদিন পর্যন্ত আমার বাচ্চাদের জীবনের প্রথম দশকের দিকে ফিরে তাকাতেও বিভীষিকা হতো। ওই সময়ের স্ন্যাপশটে আমি দেখি মাতৃত্বের পোষাকে অর্ধনগ্ন শিশুর ওপর ঝুঁকে দাঁড়িয়ে থাকা এক হাস্যোজ্জ্বল তরুণীকে; ক্রমশ সে হাসি থামিয়ে দেয়, বিষণ্ণ হয়ে দূরে কোথাও তাকিয়ে থাকে, যেন অন্য কিছু শোনার প্রতীক্ষায়…’

 

রিচের এই বেদনাকে আমি নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারি একই বাস্তবতায়। তাঁর মতো আমিও তিন সন্তানের মা। যদিও আমার সন্তানদের বাবা আমার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে সন্তান পালনের দায়িত্ব, কখনো ফিজিক্যাল নার্চারটা সেই বরং বেশি করে, তবুও এই সমাজ ব্যবস্থা এবং কাঠামো প্রতিমুহূর্তে আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তার জন্য সেটা বাধ্যতামূলক নয়, আমার জন্য যা।

ফলে, সে সন্তান পালন করেছে তার মর্জিমতো, আমাকে করতে হয়েছে আবশ্যিকভাবে। আবার তার এই মর্জির জন্য আমাকে তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকতে হয়েছে সবসময়। আর আমার রোজগার করা, অফিস ট্যুর করা, লেখালেখি করা, পড়াশোনা করা, ঘুরতে যাওয়া, আড্ডা দেওয়া সব কিছুর মধ্যেই বাধ্যতামূলক পিছুটান আমাদের তিন সন্তান। আমাকে সব কিছুর মধ্যেই সবার আগে তাদের কথা ভাবতে হয়, সমন্বয় করতে হয়, সারাক্ষণ দৌঁড়ের ওপর থাকতে হয়।

আমি প্রায় সময়ই প্রচণ্ড মানসিক চাপ বোধ করি, সবসময়ই অপরাধবোধে আক্রান্ত হই, কাজের কোয়ালিটি হারাই, দিনের পর দিন যায় লেখার সময় পাই না, নিজেকে মুর্খ মনে হয়, সারাদিন বাচ্চাদের সামলে রাতে না ঘুমিয়ে কাজ করতে হয়, ঘুমহীনতার ফলে আমার স্বাস্থ্য নষ্ট হয়, বিষণ্ণতা আক্রমণ করে।

এই বাস্তবতা বুঝতে পেরেই সত্তরের দশকে যুক্তরাজ্যে ‘ফ্যামিলিস নিড ফাদারস’ নামে একটি সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়, যা নারীর ওপর আরোপিত মাতৃত্বের মিথকে চ্যালেঞ্জ করে সন্তান পালনের বাধ্যবাধকতা থেকে নারীকে মুক্ত করে এবং পুরুষকেও সন্তান পালনের সহযোগী করে তোলার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

এই আন্দোলন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় না গিয়েও এর নামের মধ্যে যে মানবিক আর্তি আছে তা-ই বিশ্বব্যাপী মায়েদের ব্যক্তিগত বেদনা ও ত্যাগের অনুভূতিতে একাত্ম করতে পেরেছে এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে এই আন্দোলন একসময়ে সাংগঠনিক রূপ পেয়েছে। পরবর্তীতে এই সংগঠন ইউরোপে মাতৃত্বের অনুকূল এমন একটি সুবিন্যস্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে ভূমিকা রেখেছে যেখানে পুরুষকে পরিবারে এবং সন্তান পালনে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

ফলে ইউরোপের নারী-পুরুষ উভয়েই এই সত্য বুঝতে পারে যে সন্তান পালনে পিতার অংশগ্রহণ বাড়লে নারী নিজে সমৃদ্ধ ব্যক্তিগত জীবনযাপন করতে পারে এবং অর্জন করে সত্যিকার মানবিক মূল্যবোধ, ফলে সেই মা সন্তানদের সবচেয়ে ভালোভাবে লালন-পালন করতে সক্ষম।

কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বিধি-বিধান আজকের দিনেও মাতৃত্ব এবং সন্তান পালন শুধু নারীর জন্য বাধ্যতামূলক করেছে। এখানে নারী পুরুষ বিয়ের চুক্তিতে আবদ্ধ হয় শুধুমাত্র সন্তান জন্মদানের জন্য এবং বলাই বাহুল্য নারী সেই চুক্তির আজীবন বন্দী। ওই চুক্তির জোরে নারীর গর্ভের উপর আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ নেয় পুরুষ। নারীর জন্য বাধ্যতামূলক হয় পুরুষের প্রয়োজন মাফিক সন্তান জন্মদান।

নারী যদিও বা নিজের ইচ্ছেতে সন্তান গর্ভে ধারণ করে, জন্ম দেয়, তবুও সন্তান পালনের জন্য নারীকে ভোগ করতে হয় আজীবন গৃহদণ্ড। গর্ভধারণ ও স্তন্যদানের সঙ্গে শিশুপালনের একচ্ছত্র দায় নারীর কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে স্বাধীন, মুক্ত, উপার্জনকারী নারীকে অন্তঃপুর বা প্রাইভেট ডোমেইন নামের যে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে তার প্রাতিষ্ঠানিক নাম পরিবার।

 

পুরুষতন্ত্র নারীকে এই অন্তঃপুরে আটকে রাখার জন্য শুধু যে নিয়ম-কানুন বানিয়েই নিশ্চিন্ত হয়েছে তাই নয়, ছলও করেছে। মাতৃত্বের গৌরব তেমনই এক আবেগীয় রাজনীতি, যেখানে সম্মান আর মহিমার সুবাস লাগিয়ে নারীকে প্রসব ও সন্তান পালনে ব্যস্ত রেখে সে সুযোগে উৎপাদন ও অর্থনীতির চাবি করায়ত্ত করে নিয়েছে পুরুষ। যে মাতৃত্ব ছিল নারীর নিজস্ব সম্পদ তাকে দখল করেই পুরুষ নারীর মালিক হয়ে উঠেছে।

নারীর সন্তান জন্মদানের সহজ স্বাভাবিক জৈবীক ও প্রাকৃতিক ক্ষমতাকে  প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে, ‘নারীরা মায়ের জাত’, ‘মাতৃত্বেই নারীর সার্থকতা’ পুরুষের রচিত মিথগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করে, মায়ের সঙ্গে সন্তানের নাড়ির টান বলে এক অসত্য, অযৌক্তিক কিংবদন্তীকে সত্য বলে বিশ্বাস করিয়েছে নারীকে।

অথচ নাড়ির টান বলে যে মিথ, তার কোনও জৈবিক ভিত্তি নেই। যা আছে তার পুরোটাই হলো সন্তানের সঙ্গে মায়ের নিরবচ্ছিন্ন শ্রম, যোগাযোগ আর মনোযোগে গড়ে তোলা সম্পর্ক। সন্তানকে শারীরিকভাবে পালন করে, যত্ন দিয়ে, মনোযোগ দিয়ে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারলে সন্তানের সঙ্গে এই “নাড়ির টান” একজন বাবারও গড়ে উঠতে পারে।

এখানে সন্তান জন্মদানের জৈবিক ক্ষমতার সঙ্গে সামাজিকভাবে নির্মিত মাতৃত্বের ভূমিকাকে মিলিয়ে ফেললে চলবে না। সন্তান ধারণ ও জন্মদানের জন্য নারীর জরায়ু আছে, কেবল এটুকুই ‘মা’ হওয়ার জন্য নারীর জৈবিক বাধ্যতা।

এর বাইরে আর যেসব দায়িত্ব পালনের জন্য মাতৃত্বকে মহান করা হয়েছে তার সবটুকুই পুরুষ করতে পারে। কারণ সন্তানের যত্ন নেওয়ার জন্য বা বাচ্চা পালন করার জন্য জরায়ুর প্রয়োজন হয়না। পৃথিবীতে প্রচুর একা বাবা আছেন যারা পূর্ণ মাতৃত্ব দিয়েই সন্তান বড় করছেন। আমি নিজের পরিবারে দেখেছি, আমার সন্তানদের বাবা আমার চাইতে অনেক বেশি যত্ন নিয়ে সন্তান পালন করতে পারেন।

আরোপিত মাতৃত্বের যে বাধা নারীকে স্বাধীন কর্মজীবন থেকে, প্রোডাক্টিভ রোল থেকে পিছিয়ে রেখেছে তা দূর করার একমাত্র উপায় হলো সন্তানের সঙ্গে মায়ের মতো বাবারও আত্মিক ও নাড়ীর যোগাযোগ তৈরি করা। সেটা সম্ভব শুধুমাত্র সন্তান পালনে শারীরিকভাবে অংশীদার হয়ে, যত্ন দিয়ে, মনোযোগ দিয়ে যোগাযোগ স্থাপন করার মাধ্যমে।

সুতরাং পুরুষের মধ্যে এই বোধ আসা খুব জরুরি যে, সন্তান পালনের দায়িত্ব বাবা ও মা দুজনের। কারণ, পরিবারে বাবারা সন্তান লালন-পালনের কাজে ন্যায্য ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে এলে মা-বাবা এবং সন্তানের মধ্যকার সম্পর্কে পরিবর্তন আসে। কারণ, তখন সন্তানের মা ও বাবা উভয়েই সন্তানের জন্য বেশি সময় দেন বলে নারীরা তাদের কাজের ‘দ্বিগুণ বোঝা’ থেকে মুক্তি পান এবং বাবারাও সন্তান বড় করার আনন্দ, সন্তানের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপনের তৃপ্তি অর্জন করেন।

সুতরাং পুরুষদের শিশু যত্নে সম্পৃক্ত করতে হলে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উপযুক্ত নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রণয়নের প্রয়োজন। রাষ্ট্র শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, যত্ন ও শিক্ষায় বাবাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে উৎসাহিত করবে, যুক্তিসঙ্গত পিতৃত্বকালীন ছুটি সংক্রান্ত নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে এবং পিতৃত্বকালীন ছুটি অবশ্যই মাতৃত্বকালীন ছুটির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে।

না, এটি ভাবার কোন কারণ নেই যে, নারীরা মাতৃত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বা নিতে যাচ্ছে। বরং আমরা মাতৃত্বের অনুকূল একটি সুবিন্যস্ত সমাজের স্বপ্ন দেখছি যেখানে শিশুদের ভার প্রধানত নেবে পুরো সমাজ বা রাষ্ট্র ব্যবস্থা; যেখানে যত্ন নেওয়া হবে মায়ের এবং তাকে সাহায্য করা হবে, যেন নারীর জন্য মাতৃত্ব ও জীবিকা পরস্পর কঠিন হয়ে না দাঁড়ায়।

আমরা যখনই লিঙ্গসাম্যের কথা বলবো তখনই আমাদের মনে রাখতে হবে সন্তানের প্রতি দায়বদ্ধতা পালন করেও যেদিন নারী পুরুষ উভয়ের প্রতিভা ও যোগ্যতা চর্চা করার সমান সুযোগ মিলবে, সেদিনই সমাজে লিঙ্গসাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে।

মাতৃত্ববোধ হোক নারী পুরুষ উভয়ের জন্য আত্মসমৃদ্ধির, কোনোভাবেই নারীর একা বিপন্নতার নয়।

সত্তরের দশকে যুক্তরাজ্যে ‘ফ্যামিলিস নিড ফাদারস’ নামে একটি সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়, যা নারীর ওপর আরোপিত মাতৃত্বের মিথকে চ্যালেঞ্জ করে সন্তান পালনের বাধ্যবাধকতা থেকে নারীকে মুক্ত করে এবং পুরুষকেও সন্তান পালনের সহযোগী করে তোলার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখে
কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বিধি-বিধান আজকের দিনেও মাতৃত্ব এবং সন্তান পালন শুধু নারীর জন্য বাধ্যতামূলক করেছে। এখানে নারী পুরুষ বিয়ের চুক্তিতে আবদ্ধ হয় শুধুমাত্র সন্তান জন্মদানের জন্য এবং বলাই বাহুল্য নারী সেই চুক্তির আজীবন বন্দী। ওই চুক্তির জোরে নারীর গর্ভের উপর আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ নেয় পুরুষ। নারীর জন্য বাধ্যতামূলক হয় পুরুষের প্রয়োজন মাফিক সন্তান জন্মদান।
নারী যদিও বা নিজের ইচ্ছেতে সন্তান গর্ভে ধারণ করে, জন্ম দেয়, তবুও সন্তান পালনের জন্য নারীকে ভোগ করতে হয় আজীবন গৃহদণ্ড। গর্ভধারণ ও স্তন্যদানের সঙ্গে শিশুপালনের একচ্ছত্র দায় নারীর কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে স্বাধীন, মুক্ত, উপার্জনকারী নারীকে অন্তঃপুর বা প্রাইভেট ডোমেইন নামের যে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে তার প্রাতিষ্ঠানিক নাম পরিবার।
অথচ নাড়ির টান বলে যে মিথ, তার কোনও জৈবিক ভিত্তি নেই। যা আছে তার পুরোটাই হলো সন্তানের সঙ্গে মায়ের নিরবচ্ছিন্ন শ্রম, যোগাযোগ আর মনোযোগে গড়ে তোলা সম্পর্ক। সন্তানকে শারীরিকভাবে পালন করে, যত্ন দিয়ে, মনোযোগ দিয়ে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারলে সন্তানের সঙ্গে এই “নাড়ির টান” একজন বাবারও গড়ে উঠতে পারে।
না, এটি ভাবার কোন কারণ নেই যে, নারীরা মাতৃত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বা নিতে যাচ্ছে। বরং আমরা মাতৃত্বের অনুকূল একটি সুবিন্যস্ত সমাজের স্বপ্ন দেখছি যেখানে শিশুদের ভার প্রধানত নেবে পুরো সমাজ বা রাষ্ট্র ব্যবস্থা; যেখানে যত্ন নেওয়া হবে মায়ের এবং তাকে সাহায্য করা হবে, যেন নারীর জন্য মাতৃত্ব ও জীবিকা পরস্পর কঠিন হয়ে না দাঁড়ায়।

লেখক:সাদিয়া নাসরিন

প্রধান নির্বাহী ,

সংযোগ বাংলাদেশ

ট্যাগ: সাদিয়া নাসরিন
শেয়ারটুইটপাঠানপাঠানস্ক্যান
আগের লেখা

ফাঁসির দণ্ড পাওয়া স্ত্রী খুনের আসামি সিরাজুল গ্রেপ্তার

পরের লেখা

বাধ্যতামূলক হিজাব আইন মানতে নারাজ ইরানি নারীরা

এই ধরনেরলেখা

Aditi Falguni gayen
বিজনেস

Rabindranath Tagore or Dr. Muhammad Yunus: Who was the innovator of ‘micro-credit’ system?

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা
সাহিত্য

বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা

৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
অভিভাবকত্বে স্বীকৃত হলেন দাদি-নানি খালা-ফুপুও
শিরোনাম

অভিভাবকত্বে স্বীকৃত হলেন দাদি-নানি খালা-ফুপুও

৩০ আগস্ট ২০২৩
Decoding the Reality Behind ‘নারী কীসে আটকায়?’
সম্পাদকের প্রতিবেদন

Decoding the Reality Behind ‘নারী কীসে আটকায়?’

৯ আগস্ট ২০২৩
লেখক: অর্পিতা চৌধুরী (আইনজীবী, সুপ্রিমকোর্ট)
আইন আদালত

সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩: ব্যাপ্তি, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির সমন্বয়হীনতা

৮ আগস্ট ২০২৩
Photo: Fahmida zaman Flora
নারীবাদ

“Cigarettes and Feminism” Ignites Controversial Photo Debate

৭ আগস্ট ২০২৩
পরের লেখা
বাধ্যতামূলক হিজাব আইন মানতে নারাজ ইরানি নারীরা

বাধ্যতামূলক হিজাব আইন মানতে নারাজ ইরানি নারীরা

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

  • জনপ্রিয়
  • মন্তব্য
  • সাম্প্রতিক
বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা

বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা

৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Decoding the Reality Behind ‘নারী কীসে আটকায়?’

Decoding the Reality Behind ‘নারী কীসে আটকায়?’

৯ আগস্ট ২০২৩
মার্জিয়া নাঈম

একজন মিতার বেশ্যা হওয়ার গল্প

৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
Dark Reality, Sadia Jahan Prova’s Trauma Exposed ” protection of women” is great failure

Dark Reality, Sadia Jahan Prova’s Trauma Exposed ” protection of women” is great failure

৩ এপ্রিল ২০২৩
Photo: Fahmida zaman Flora

“Cigarettes and Feminism” Ignites Controversial Photo Debate

৭ আগস্ট ২০২৩
জেল থেকে বেরিয়ে কাজে ফিরেছেন পরিমনি

জেল থেকে বেরিয়ে কাজে ফিরেছেন পরিমনি

১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
অভিভাবকত্বে স্বীকৃত হলেন দাদি-নানি খালা-ফুপুও

অভিভাবকত্বে স্বীকৃত হলেন দাদি-নানি খালা-ফুপুও

৩০ আগস্ট ২০২৩
Aditi Falguni gayen

Rabindranath Tagore or Dr. Muhammad Yunus: Who was the innovator of ‘micro-credit’ system?

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
SONAM- AKTER- BIOCHEMESTRY- ASSITENT PROFESSOR- CHITTAGONG- UNIVERSTY- WOMEN VOICEBD

টিউশনের নাশতা খেয়েই দিন পার করতাম- জীবন যুদ্ধে জয়ী চবি শিক্ষক সোনমের গল্প

১০ জুলাই ২০২০
ক্যাসভাস ম্যাগাজিনে প্রকাশ হওয়া ১৭ শতকের কবি ভারতচন্দ্র গুণাকরের কবিতার প্রতিচ্ছবিকে নারীবিদ্বেষী আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের ৩১ নারীবাদী অ্যাকিটিভিস্ট

‘ক্যানভাস ম্যাগাজিনের ফটোশুট নারীবিদ্বেষের চরম রুপ’- ৩১ নারীবাদীর বিবৃতি

৭ অক্টোবর ২০২১
Aditi Falguni gayen

Rabindranath Tagore or Dr. Muhammad Yunus: Who was the innovator of ‘micro-credit’ system?

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা

বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা

৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
অভিভাবকত্বে স্বীকৃত হলেন দাদি-নানি খালা-ফুপুও

অভিভাবকত্বে স্বীকৃত হলেন দাদি-নানি খালা-ফুপুও

৩০ আগস্ট ২০২৩
Decoding the Reality Behind ‘নারী কীসে আটকায়?’

Decoding the Reality Behind ‘নারী কীসে আটকায়?’

৯ আগস্ট ২০২৩
IIUB Student Naureen Jumps to Death within 19 days into Marriage

IIUB Student Naureen Jumps to Death within 19 days into Marriage

৯ আগস্ট ২০২৩
লেখক: অর্পিতা চৌধুরী (আইনজীবী, সুপ্রিমকোর্ট)

সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩: ব্যাপ্তি, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির সমন্বয়হীনতা

৮ আগস্ট ২০২৩
Photo: Fahmida zaman Flora

“Cigarettes and Feminism” Ignites Controversial Photo Debate

৭ আগস্ট ২০২৩
Sakshi Pradhan stars as the lead role of Devi

‘MR-9: Do or Die’ Bangladesh Welcomes Indian Star Sakshi Pradhan

২৯ জুলাই ২০২৩
ডাক্তার মনিকা বেগ, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান এবং বৈশ্বিক সমন্বয়ক, এইডস সেকশন, জাতিসংঘ সদর দপ্তর, ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া

মাহবুবা রহমান আঁখি এবং তার নবজাতক সন্তানের মৃত্যু/ দুটি দুর্ঘটনার অনেকগুলো প্রশ্ন

১০ জুলাই ২০২৩
Child rapist Kamrul Mostafa, nabs by RAB After Years on the Run

Child rapist Kamrul Mostafa, nabs by RAB After Years on the Run

৮ জুন ২০২৩
Decoding the Reality Behind ‘নারী কীসে আটকায়?’
সম্পাদকের প্রতিবেদন

Decoding the Reality Behind ‘নারী কীসে আটকায়?’

৯ আগস্ট ২০২৩
IIUB Student Naureen Jumps to Death within 19 days into Marriage
অপরাধ

IIUB Student Naureen Jumps to Death within 19 days into Marriage

৯ আগস্ট ২০২৩
Photo: Fahmida zaman Flora
নারীবাদ

“Cigarettes and Feminism” Ignites Controversial Photo Debate

৭ আগস্ট ২০২৩
Sakshi Pradhan stars as the lead role of Devi
English Section

‘MR-9: Do or Die’ Bangladesh Welcomes Indian Star Sakshi Pradhan

২৯ জুলাই ২০২৩
Child rapist Kamrul Mostafa, nabs by RAB After Years on the Run
English Section

Child rapist Kamrul Mostafa, nabs by RAB After Years on the Run

৮ জুন ২০২৩
Dark Reality, Sadia Jahan Prova’s Trauma Exposed ” protection of women” is great failure
English Section

Dark Reality, Sadia Jahan Prova’s Trauma Exposed ” protection of women” is great failure

৩ এপ্রিল ২০২৩
Why Being Single is a Powerful Choice for Women
সম্পাদকের প্রতিবেদন

Why Being Single is a Powerful Choice for Women

৩ এপ্রিল ২০২৩
Relatives Allege Torture in Custody: Sultana Jasmine Dies in RAB Custody
English Section

Relatives Allege Torture in Custody: Sultana Jasmine Dies in RAB Custody

২৮ মার্চ ২০২৩
Editor
Syeda Sazia Afrin

Work for us

Have a video/podcast?

Dhaka Office

Green Road, 3rd Floor, Dhaka

Chittagong Office

Jamalkhan Road, Chittagong 4000

Women Voice BD is a powerful website for Bangladeshi Women. It based and covers women. We publish mainly news, feature, articles, lifestyle, literature which relates with women. We specially raised our voice against the violence against women.
  • নারী প্রতিদিন
  • লাইফস্টাইল
  • সম্পর্ক
  • স্বাস্থ্যকথা
  • বিনোদনের জগৎ
  • সাহিত্য
  • English
© 2020 Women Voice Bangladesh. All Rights Reserved.

Website powered by DigitB

কোনো ফলাফল নেই
সব ফলাফল দেখুন
  • নারী প্রতিদিন
    • নারীবাদ
    • রাজনীতি
    • নারী বিশ্ব
    • পুরুষপক্ষ
    • ক্যাম্পাস-পড়াশোনা
    • সারভাইভর স্টোরি
    • বিজনেস
    • আইন আদালত
    • ক্যারিয়ার-চাকরি
    • আইনি পরামর্শ
    • অপরাধ
    • খেলা
    • ধর্ম কথা
  • লাইফস্টাইল
    • বেড়ানো
    • ইন্টেরিয়র
    • ফ্যাশন
    • কেনাকাটা-বাজার
    • রান্না
    • সাজগোজ
  • সম্পর্ক
    • স্বীকারোক্তি
    • কানে কানে
    • পজেটিভ প্যারেন্টিং
  • স্বাস্থ্যকথা
    • ফিটনেস
    • মাতৃত্ব
    • মানসিক স্বাস্থ্য
    • শরীর স্বাস্থ্য
    • শিশুর যত্ন
  • বিনোদনের জগৎ
    • টেলিভিশন
    • ঢালিউড
    • বলিউড
    • বিবিধ
    • মঞ্চ
    • হলিউড
  • সাহিত্য
    • কবিতা
    • গল্প
    • প্রবন্ধ
    • বিবিধ
  • English

© 2020 Women Voice Bangladesh All Rights Reserved. Website powered by DigitB

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Create New Account!

Fill the forms bellow to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist