রান্নাঘরে ডিমের চলাচল সবচেয়ে বেশি। সকালের খাবার থেকে শুরু করে ঝটপট যে কোনো নাস্তার মেন্যুতেই থাকে ডিম। তবে ঠিক কী ভাবে ডিম খেলে তার পুষ্টিগুণ অক্ষুন্ন থাকে অনেকেরই সেটি অজানা। জেনে ডিম খেলে শরীরের যেমন কোনও ক্ষতি হয় না, তেমনই শিশুর পুষ্টিলাভ সম্পর্কেও অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকা যায়।
ডায়েটেশিয়ান রেশমি রায়চৌধুরীর মতে, ‘সহজলভ্য ও পকেটসই দামে প্রোটিনের সেরা ভাণ্ডার ডিম। ডিমের কুসুম এমনিই সুষম খাবার। আজকাল গবেষণায় প্রমাণিত, কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রেও বাধা হয় না ডিমের কুসুম। অমলেট, স্ক্রাম্বেলড এগ, ডিমের কালিয়া এ সবও খেতে খুবই স্বাদু, কিন্তু কম পড়ে য়ায় ডিমের পুষ্টিগুণে। কিন্তু তেলে-ঝালে রান্না হওয়া ডিম থেকে ততটা পুষ্টিগুণ মেলে না, যতটা মেলে সেদ্ধ করা ডিমে।’
তেলহীন পোচ: তেলবিহীন উপায়ে যদি পোচ বানাতে পারেন, তা হলে স্বাদ ও স্বাস্থ্য দুই-ই রক্ষা হয়। তবে তেলবিহীন উপায়ে পোচ তৈরি করা একটু কঠিন। প্রথমে ডিমটা সাবধানে ভেঙে নিন একটি বাটিতে। এমন ভাবে ভাঙতে হবে যেন কুসুম আস্ত থাকে, ছড়িয়ে না পড়ে। এর উপর স্বাদ অনুযায়ী গোলমরিচ ও নুন ছড়ান। এ বার একটি পাত্রে ভিনিগার দিয়ে অল্প জল ফুটিয়ে তার মধ্যে সাবধানে ছেড়ে দিন এই ভাঙা ডিম। পোচ তৈরি হয়ে গেলে ঝাঁঝরি দিয়ে জল ঝরিয়ে তুলে নিন। এমন পোচে তেল যোগ হয় না বলে ডিমের সবটুকু পুষ্টিগুণ অটুট থাকে।
হাফ বয়েল: ডিমের বাইরের সাদা অংশ সুসিদ্ধ হলেও ভিতরের কুসুম আধসিদ্ধ, এমন ডিমকেই স্বাস্থ্যকর বলে দাবি চিকিৎসকদের। আগুনের আঁচ ডিমের ভিতর থাকা ক্ষতিকর জীবাণুদের মেরে ফেলে সঙ্গে কুসুমের ভিতর থাকা সবটুকু পিুষ্টিগুণকেই আগলে রাখে। ফুটন্ত নুনজলে মিনিট পাঁচেক সেদ্ধ করলেই এমন হাফ বয়েল ডিম মিলবে সহজেই।
ফুল বয়েল: একটি গোটা সেদ্ধ ডিম থেকে প্রায ১২.৬ গ্রাম প্রোটিন মেলে। এমন ফুল বয়েলড ডিম যেমন শুধুই খাওয়া যায়, তেমনই স্যালাড হোক বা স্যান্ডউইচ, সব কিছুতেই সঙ্গত করতে পারে এটি। ডিমের সব ধরনের পদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল হজম হয় এমন ডিম। নুনজলে মিনিট দশেক সময় নিয়ে ফোটালেই তৈরি সেদ্ধ ডিম।
সূত্র-আনন্দবাজার