পেশায় কম্পিউটার প্রকৌশলী হলেও চাকরিতে মন টেকেনি তার। পেশাজীবী নারীদের ঘরের কাজের ঝামেলাকে সহজ করতে চট্টগ্রামের মেয়ে নাসরিন তসলিমা অন্যরকম একটা উদ্যেগ হাতে নিয়েছেন। প্রকৌশলী হলেও তিনি একজন ভিন্নধর্মী নারী উদ্যেক্তা। রেডি টু কুক ফুড বিক্রি করে তিনি এখন প্রতিমাসে আয় করেন প্রায় ১ লাখ টাকা। গত দেড় বছরে তার বিক্রি হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ টাকার মাছ ও সবজি।
ফেসবুকের একটি খাবারের গ্রুপে পোষ্ট দিয়ে প্রথমবারের মতো ‘রেডি টু কুক ফুড’ এর যাত্রা শুরু করেছিলেন তসলিমা। প্রথম পোষ্টেই প্রায় ৬৫০ জন মন্তব্য করেন তাদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই অর্ডার নিশ্চিত করে। সেদিন শুধু ফোন রিসিভ করে অর্ডার নিতে নিতেও হিমশিম খেয়ে যান তসলিমা। শুরুতে মাছ, মাংসের পাঁচ-ছটি পদ নিয়ে কাজ শুরু করলেও এখন তিনি বিক্রি করছেন শাকসবজি ও বাটামসলাসহ অন্তত ৬০টির বেশি পদ। কর্মজীবী নারীরাই তার মূল ক্রেতা হলেও এখন তার ক্রেতা প্রবাসীরাও।
উইম্যান ভয়েস বিডি কে তিনি তার উদ্যেক্তা হওয়ার গল্প নিয়ে যা বলেছেন, আমাদের দেশে পেশাজীবী নারীদেরও ঘরের কাজ করতে হয়। অফিস থেকে ফিরেই কোন বিশ্রাম না নিয়ে নারীদের ঢুকে পড়তে হয় রান্নাঘরে। কুটোবাছা, ধোয়া শেষ করে এরপর রান্নার কাজটা বেশ ঝামেলার ও সময়সাপেক্ষ। যদি রান্নার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত খাবার বাসায় থাকে তাহলে ঝামেলা তুলনামূলকভাবে কম হয়।
তসলিমা বলেন, ‘ধরুন আপনি অফিস থেকে ফিরলেন। ফেরার পর রেডি টু কুক ফুড হাতে পেলেন; চুলোয় দিতেই রান্না হয়ে গেলো কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই। মূলত উন্নত বিশ্বে এরকম কুকড বা সেমিকুকড্ খাবার সুপারশপেই কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশে এমন সুবিধা খুব একটা নেই বললেই চলে। ’
নিজের বিষয়ে জানাতে গিয়ে নাসরিন তসলিমা বলেন, ‘আমি বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সাইন্স ইন্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ও সম্মান শেষ করেছি। পড়া শেষে লেকচারার পদসহ চাকরি করেছি পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের জন্য। আমার কাজ করা ৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটা পলিটেকনিক্যাল কলেজে চিফ্ ইন্সস্ট্রাকটর ছিলাম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্জিনিয়ির ছিলাম কেইপিজেড এর দুটো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে। একসময়ে আমার মনে হয়েছে এবার অন্যরকম কিছু করি। যেই ভাবা সেই কাজ, চাকরি ছেড়ে দিলাম। ’
পেশায় কম্পিউটার প্রকৌশলী হলেও চাকরিতে মন টেকেনি তার। পেশাজীবী নারীদের ঘরের কাজের ঝামেলাকে সহজ করতে চট্টগ্রামের মেয়ে নাসরিন তসলিমা অন্যরকম একটা উদ্যেগ হাতে নিয়েছেন। প্রকৌশলী হলেও তিনি একজন ভিন্নধর্মী নারী উদ্যেক্তা। রেডি টু কুক ফুড বিক্রি করে তিনি এখন প্রতিমাসে আয় করেন প্রায় ১ লাখ টাকা। গত দেড় বছরে তার বিক্রি হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ টাকার মাছ ও সবজি।
ফেসবুকের একটি খাবারের গ্রুপে পোষ্ট দিয়ে প্রথমবারের মতো ‘রেডি টু কুক ফুড’ এর যাত্রা শুরু করেছিলেন তসলিমা। প্রথম পোষ্টেই প্রায় ৬৫০ জন মন্তব্য করেন তাদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই অর্ডার নিশ্চিত করে। সেদিন শুধু ফোন রিসিভ করে অর্ডার নিতে নিতেও হিমশিম খেয়ে যান তসলিমা। শুরুতে মাছ, মাংসের পাঁচ-ছটি পদ নিয়ে কাজ শুরু করলেও এখন তিনি বিক্রি করছেন শাকসবজি ও বাটামসলাসহ অন্তত ৬০টির বেশি পদ। কর্মজীবী নারীরাই তার মূল ক্রেতা হলেও এখন তার ক্রেতা প্রবাসীরাও।
উইম্যান ভয়েস বিডি কে তিনি তার উদ্যেক্তা হওয়ার গল্প নিয়ে যা বলেছেন, আমাদের দেশে পেশাজীবী নারীদেরও ঘরের কাজ করতে হয়। অফিস থেকে ফিরেই কোন বিশ্রাম না নিয়ে নারীদের ঢুকে পড়তে হয় রান্নাঘরে। কুটোবাছা, ধোয়া শেষ করে এরপর রান্নার কাজটা বেশ ঝামেলার ও সময়সাপেক্ষ। যদি রান্নার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত খাবার বাসায় থাকে তাহলে ঝামেলা তুলনামূলকভাবে কম হয়।
তসলিমা বলেন, ‘ধরুন আপনি অফিস থেকে ফিরলেন। ফেরার পর রেডি টু কুক ফুড হাতে পেলেন; চুলোয় দিতেই রান্না হয়ে গেলো কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই। মূলত উন্নত বিশ্বে এরকম কুকড বা সেমিকুকড্ খাবার সুপারশপেই কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশে এমন সুবিধা খুব একটা নেই বললেই চলে। ’
নিজের বিষয়ে জানাতে গিয়ে নাসরিন তসলিমা বলেন, ‘আমি বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সাইন্স ইন্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ও সম্মান শেষ করেছি। পড়া শেষে লেকচারার পদসহ চাকরি করেছি পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের জন্য। আমার কাজ করা ৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটা পলিটেকনিক্যাল কলেজে চিফ্ ইন্সস্ট্রাকটর ছিলাম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্জিনিয়ির ছিলাম কেইপিজেড এর দুটো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে। একসময়ে আমার মনে হয়েছে এবার অন্যরকম কিছু করি। যেই ভাবা সেই কাজ, চাকরি ছেড়ে দিলাম। ’
কবে থেকে কাজ শুরু করেছেন এই প্রশ্নের জবাবে উইম্যান ভয়েস বিডিকে বলেন, ‘২০২০ এর মার্চ মাসে আমি কাজ শুরু করি। বুঝেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম রেডি টু কুক ফুড নিয়ে যদি কাজ করি তাহলে সেটা অন্যান্য পেশাজীবী নারীদের জন্যও উপকারে আসবে। যদিও বাংলাদেশের জন্য এটি নতুন ধারণা। কিন্তু উন্নত বিশ্বে যেখানে নারী–পুরুষ উভয়েই সমান কাজ করছে সেখানে রেডি টু কুক ফুড সার্ভিস আগে থেকেই জনপ্রিয় হয়ে আছে। ’
তসলিমা জানান, বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাজা মাছ, মাংস সংগ্রহ করে কুটেবেছে ধুয়ে খাবার প্যাকেট করি। ফলে ক্রেতারা এটি পছন্দ করেছেন। মোটকথা, আপনি যদি ভিন্নরকমের কিছু চান সেটা বাটা মসলা, গরুর ভুনা, কচুরলতি, মাসকলাইয়ের ডাল বা নারকেল বাটা- সবকিছুই আমি বিক্রি করি।
কীভাবে তিনি খাবার অর্ডারগুলো নিয়ে প্রসেস করেন সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণত আগে থেকেই অর্ডার করতে হয় তবে ক্ষেত্র বিশেষে ৩ ঘণ্টার ব্যাবধানেও খাবার ডেলিভারি করেছি।
রেডি টু কুক ফুড উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্ত পেশাজীবী নারীর জন্য তবে নিম্নবিত্ত গার্মেন্টসকর্মীদের জন্য কি পরিকল্পনা তা জানতে চাইলে তসলিমা বলেন, ‘নিকট ভবিষ্যতে সবার জন্য সবরকমের কাজ করতে চাই। সব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে খুব ইচ্ছে চট্টগ্রাম শহরে একটা আউটলেট দেওয়ার এবং সব ধরনের ক্রেতাদের জন্য, যেটা সব শ্রেণি ও পেশার নারীদের জন্য হবে সুব্যাবস্থা। আমি আশা করবো হয়তো দশ বছর পর বা একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর এমন একটা পর্যায়ে যাবো যেখানে সবধরনের পেশাজীবীর জন্য কাজ করতে পারবো ।
কিভাবে শুরু করেছেন এই প্রশ্নের জবাবে উইম্যান ভয়েস বিডিকে বলেন, ‘২০২০ এর মার্চ মাসে আমি কাজ শুরু করি। বুঝেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম রেডি টু কুক ফুড নিয়ে যদি কাজ করি তাহলে সেটা অন্যান্য পেশাজীবী নারীদের জন্যও উপকারে আসবে। যদিও বাংলাদেশের জন্য এটি নতুন ধারণা। কিন্তু উন্নত বিশ্বে যেখানে নারী–পুরুষ উভয়েই সমান কাজ করছে সেখানে রেডি টু কুক ফুড সার্ভিস আগে থেকেই জনপ্রিয় হয়ে আছে। ’
তসলিমা জানান, বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাজা মাছ, মাংস সংগ্রহ করে কুটেবেছে ধুয়ে খাবার প্যাকেট করি। ফলে ক্রেতারা এটি পছন্দ করেছেন। মোটকথা, আপনি যদি ভিন্নরকমের কিছু চান সেটা বাটা মসলা, গরুর ভুনা, কচুরলতি, মাসকলাইয়ের ডাল বা নারকেল বাটা- সবকিছুই আমি বিক্রি করি।
কীভাবে তিনি খাবার অর্ডারগুলো নিয়ে প্রসেস করেন সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাধারণত আগে থেকেই অর্ডার করতে হয় তবে ক্ষেত্র বিশেষে ৩ ঘণ্টার ব্যাবধানেও খাবার ডেলিভারি করেছি।
রেডি টু কুক ফুড উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্ত পেশাজীবী নারীর জন্য তবে নিম্নবিত্ত গার্মেন্টসকর্মীদের জন্য কি পরিকল্পনা তা জানতে চাইলে তসলিমা বলেন, ‘নিকট ভবিষ্যতে সবার জন্য সবরকমের কাজ করতে চাই। সব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে খুব ইচ্ছে চট্টগ্রাম শহরে একটা আউটলেট দেওয়ার এবং সব ধরনের ক্রেতাদের জন্য, যেটা সব শ্রেণি ও পেশার নারীদের জন্য হবে সুব্যাবস্থা। আমি আশা করবো হয়তো দশ বছর পর বা একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর এমন একটা পর্যায়ে যাবো যেখানে সবধরনের পেশাজীবীর জন্য কাজ করতে পারবো।’