করোনার লকডাউনে সারাবিশ্বের মানুষ এখনও অনেকটাই ঘরে বন্দি। ব্যবসার প্রসার কমেছে। কমেছে ব্যস্ততা। অনেকে বাইরে গিয়ে নিজের প্রিয়জনদের সাথেও দেখা করতে পারেননি। মহামারিটি নিয়েই বাঁচতে হচ্ছে মানুষকে। নারী বিষয়ক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম উইম্যানস ইরা বলছে— মার্চ থেকে শুরু। করোনার লকডাউনে পর্ন ভিডিও দর্শক ও ডেটিং অ্যাপলিকেশন ব্যবহারকারী নারীর সংখ্যা বেড়েছে ১০-১৫ শতাংশ। কোভিড সময়ে ডিজিটাল প্লাটফর্মের উত্থানের সাথে সাথে বেড়েছে পর্ন ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসা। এই গবেষণা আপনাকে লকডাউনে প্রাপ্তবয়স্ক নারীরা কীভাবে তাদের যৌনতা খুঁজে নিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর প্রভাব জানা যাবে কোভিড পরবর্তী সময়ে।
সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, কোভিড মহামারি মানুষের যৌনজীবনকে প্রভাবিত করেছে। যেহেতু কোভিড ১৯ এর কোন টিকা নেই। বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক দম্পতিদের যৌনজীবন অনেকটাই থমকে গেছে। মজার বিষয় হল ওই সময়টিতে তারা নিজের যৌন জীবনকে উপভোগ করতে সাইবার সেক্স বা ভিআর পর্নের উপর অনেকটাই নির্ভর হয়ে পড়েন। ব্যবহারকারীরা বলেছেন, যৌনতার জন্য ঘরে বসেই তারা ‘মসলা’ ব্যবস্থা করেছেন।
কোভিড নতুন করে উত্থান করল পর্ন ইন্ডাস্ট্রিকে?
সারাবিশ্বের লাখ লাখ শিল্প গোষ্ঠী কোভিডের কারণে ক্ষতি গুণেছেন। মাথায় হাত পড়েছে অনেক ব্যবসায়ীর। অনেকেই একমাত্র জীবিকাও হারিয়েছেন। অন্যদিকে মানুষ ঘরবন্দি থাকায় এগিয়ে গেছে পর্ন শিল্প। সমাজ বিচ্ছিন্ন জীবন মানুষকে অশ্লীল ভিডিও দেখায় আসক্ত করে নিয়েছে। পর্নহাব ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। ব্যবহারকারীরা বলেছেন—আমরা সময় কাটানোর সৃজনশীল উপায় খুঁজে বের করেছি।
ভিআর পর্ন ও নারী
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি পর্ন (ভিআর পর্ন) নামের অশ্লীল এ শিল্পের শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। এই কোভিড লকডাউনে ২২ শতাংশ নারী ভিআর পর্নের সাথে নিজেকে জাড়িয়েছেন। নারী ব্যবহারকারীরা বলেছেন তারা ভিআর পর্ন নারীবান্ধব। এটি নারীদের ইরোটিক টেকনোলজির সাথে যুক্ত করে নিয়েছে। তারা সেখানে নিরাপদ বোধ করেন ও নিজের যৌন কামনা ও কল্পনা ওই যৌন প্রযুক্তির সাথের একাত্মবোধ করে।
অন্যদিকে ভিআর পর্ন প্রস্তুতকারীরা বলেন, ভবিষ্যতে নারীরা আরও বেশি পর্ন বিনোদনে উৎসাহিত হবেন। সারা বিশ্বে এখন ১৭১ লাখ নারী ব্যবহারকারী ভিআর পর্নের ইরোটিক ফিল্ম উপভোগ করেন।
পর্ন নির্মাতারা এ বিষয়টিকে তাদের সাফল্য ও এ শিল্পে তাদের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন।