প্রায় ২১ শতাংশ গৃহকর্মী কর্মক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। ৯১ শতাংশের ৯৯৯ হটলাইন সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই—বলছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ পরিচালিত একটি সমীক্ষা।
ঢাকার মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা ও খিলগাঁওয়ের ৪৬৫ জন গৃহকর্মীর ওপর জরিপ করা এই গবেষণায় গতকাল ইউসিইপি বাংলাদেশের কার্যালয়ে ‘গৃহকর্মীর অধিকার নিশ্চিতকরণে মিডিয়ার ভূমিকা’ বিষয়ে আলোচনা সভায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এটি যৌথভাবে আয়োজন করে দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ইউসেপ বাংলাদেশ। ‘ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড জেন্ডার ভায়লেন্স অ্যাট ওয়ার্কপ্লেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি সুনিতি প্রকল্পের সিকিউরিং রাইটস অব উইমেন ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্সের অধীনে পরিচালিত হয়। এতে সহযোগিতা করে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা ও অক্সফাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৭ শতাংশ নারী গৃহকর্মী মানসিক নির্যাতনের শিকার হন যেখানে ৬১ শতাংশ মৌখিক হয়রানির শিকার হন।
তাদের কারোরই চাকরির কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি নেই। চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়াটি যেহেতু মৌখিকভাবে করা হয় এবং তাদের মধ্যে ২৬ শতাংশ বলেছেন, ‘দেরি করলে বা কাজে অনুপস্থিত থাকলে বেতন কেটে ফেলা হয়।’
ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ডা. মো. আবদুল করিম বলেন, যেহেতু গৃহকর্মীরা শ্রম আইন থেকে বাদ পড়েছেন সেহেতু গৃহকর্মীদের কাজকে আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী নারীদের মধ্যে মাত্র ৭ শতাংশ মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়েছেন, যেখানে ৩ শতাংশ বেতনসহ ছুটি পেয়েছেন। অন্তত ৮৭ শতাংশ সাপ্তাহিক ছুটিও পাননা।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ৮৪ শতাংশ নারী গৃহকর্মী দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন। তাদের মাসিক গড় বেতন ৫,৩১১ টাকা।
ইউসিইপি বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আব্দুল করিম বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন থেকে বাদ থাকার কারণে গৃহকর্মীদের আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের স্বীকৃতি পেতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ এখনও একটি আইন নয়।
তিনি আরও বলেন, গৃহকর্মীদের সমাজে সম্মানজনক অবস্থান দিতে হলে, ‘মিডিয়াকেই আইনি ত্রুটি বিষয়ে সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ’