শেরপুরে শিক্ষানবিশ আইনজীবীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
ওই আইনজীবীকে দিয়ে প্রথমে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দায়ের করেছিলেন সারভাইভার নারী। পরে নিজের স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় নারীর। ডিভোর্সী মক্কেলের সাথে প্রেম ও শরীরী ভালোবাসা শুরু হয় আইনজীবীর। ভিকটিম নারীকে শরীরীভাবে কাছে পেতে ভুয়া কাবিননামাও তৈরি করেন ওই শিক্ষানবিশ আইনজীবী। পরে নারী স্ত্রীর সামাজিক সম্মান ও ভালোবাসা দাবি করলে বেঁকে বসেন তিনি। প্রত্যাখ্যাত ও প্রতারিত হয়ে নারী থানায় বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষানবিশ আইনজীবী দাবি করছেন মামলার ফি না দিতেই এমন ফাঁদ পেতেছেন অভিযুক্ত নারী। (সূত্র: সমকাল)
ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার নলিতাবাড়ী উপজেলায়। অভিযুক্ত শিক্ষানবিশ আইনজীবীর নাম আসাদুজ্জামান (৩৫)। বুধবার ২০ বছর বয়সী ওই নারী (২০) নিজেই শেরপুরের নলিতাবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
নলিতাবাড়ী পুলিশ জানায়, উপজেলার দক্ষিণ সন্নাসীভিটা গ্রামের বাসিন্দা ও শেরপুর কোর্টে শিক্ষানবিশ তরুণ আইনজীবি আসদুজ্জামানকে দিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেন ভুক্তভেগী নারী। পরে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে ওই আইনজীবী তার ওই নারী মক্কেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং বিয়ের কথা বলে ভুয়া কাবিননামা সাজিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। সম্প্রতি ওই নারী স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দাবি করলে অভিযুক্ত আইনজীবী বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে ওই নারী বাদি হয়ে আসাদুজ্জানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
তবে ধর্ষণের ঘটনা অস্বীকার করে অভিযুক্ত শিক্ষানবিশ আইনজীবী জানান, আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তির পর চুক্তি অনুযায়ী আমার ফি পরিশোধ না করার জন্য এমন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহম্মেদ বাদল জানান, বাদির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা মামলা রেকর্ড করেছি। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।