পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসে পূর্ব শত্রুতার সূত্রে শ্লীলতাহানির মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন আছিয়া খাতুন নামের ওই নারী। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির আছিয়া খাতুন (৫২) নামের এক নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৬ জানুয়ারি, ২০২২) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরার আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে আছিয়া খাতুন ট্রাইব্যুনালের কাছে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন বলে নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের পিপি খন্দকার আরিফুল আলম।
তিনি জানান, ফটিকছড়ির ভুজপুরের পোড়াটিলা পূর্ব ফটিকছড়ির আবুল বসরের স্ত্রী আছিয়া খাতুন। তিনি একই এলাকার আজিমপুর এলাকার কেএম এনায়েতুল্লাহ খোকন নামের এক যুবক আছিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭/৩০ ধারায় মামলাটি করেন। এ ধারা অনুযায়ী মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
২০২০ সালের ৯ আগস্ট কেএম এনায়েতুল্লাহ খোকনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে একটি নালিশি মামলা করেন আছিয়া খাতুন। ট্রাইব্যুনাল তখন মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। পিবিআই তদন্ত করে প্রতিবেদনও দায়ের করে। সে প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল খোকনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়।
পিবিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী আছিয়া খাতুনের শ্লীলতাহানির অভিযোগ সত্য নয়। পূর্ব শত্রুতার জেরে মামলায় ফাঁসাতে উক্ত মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন আছিয়া খাতুন। ২০২০ সালের ১ জুলাই ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। কিন্তু কোনো প্রকার চিকিৎসার ছাড়পত্র উপস্থাপন করতে পারেননি।