গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে (১১) অপহরণের পর ৪ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়েছে । এ অভিযোগে ছাত্রীর বাবা ৪ জনকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন ।
ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন গোপাল বাড়ৈ (৩০), আটল বাড়ৈ (২২), তাপস বৈদ্য (৪০) ও মুশুরিয়া গ্রামের বরুন বালা (২৩) ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রীর বাড়ি মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায়। পার্শ্ববর্তী জেলা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় তার মামার বাড়ি। গত ২৬ মার্চ বিকেলে ওই ছাত্রী নামকীর্ত্তন শোনার মামাবাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পীড়ারবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে কোটালীপাড়া উপজেলার পলোটানা গ্রামের গোপাল বাড়ৈ (৩০), আটল বাড়ৈ (২২), তাপস বৈদ্য (৪০) ও মুশুরিয়া গ্রামের বরুন বালা (২৩) তাকে তুলে নিয়ে যায়।
এদিকে, ভুক্তভোগী ছাত্রী তার মামাবাড়িতে না যাওয়ায় পরিবার থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে গত ৩০ মার্চ স্থানীয় এক নারীর সহায়তার ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগীর বাবা জানায়
ওই দিন তার মেয়েকে অপহরণের পর গোপাল বাড়ৈর বাড়িতে চারদিন আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়। পরে তার মেয়ে গোপাল বাড়ৈর বাড়ি থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী রেখা বালার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকেই মেয়েকে ফেরত পান তিনি।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান জানায়, ”গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ওই স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ডাক্তারি প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। এ ব্যাপারে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”