লজ্জা ঢাকতে ধর্ষণের অভিযোগ গোপন করে শুধু মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিয়ে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় হাজির হয়েছিলেন কুমিল্লার নারী রুমেনা (ছদ্মনাম)
লজ্জা ঢাকতে ধর্ষণের অভিযোগ গোপন করে শুধু মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিয়ে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় হাজির হয়েছিলেন কুমিল্লার নারী রুমেনা (ছদ্মনাম)। মারধরের মামলায় মেডিক্যাল সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে থানা থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়। মেডিক্যালে গেলে ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে পড়ে। স্বামীর সাথে মনোমালিন্য মিটমাট করিয়ে দেওয়ার কথা বলে পরিকল্পিতভাবে চট্টগ্রামে এনে রুমেনাকে ধর্ষণ করে মনির হোসেন নামে এক যুবক। ধর্ষণের পর তাকে কয়েকজন মিলে মারধর করে তার হাতে থাকা টাকাও ছিনিয়ে নেয় তারা।
শনিবার (৭ নভেম্বর) ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার এলাকায়। ঘটনার পর চারজনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হল মনির হোসেন (৩৩), মাসুদ (২০), দিদার (২২) ও সোহেল (২৪)।
মামলার ঘটনা বর্ণনা দিয়ে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) শাহীনুল ইসলাম উইম্যানভয়েসবিডিকে বলেন, ভিকটিম নারী রোমেনাকে পরিকল্পিতভাবেই ধর্ষণ করা হয়েছে বলে ধারণা করছি। রোমেনা আগে নগরেই থাকতেন লালখানবাজার এলাকায়। স্বামীর সাথে ঝগড়ার জেরে ফিরে গিয়েছিলেন কুমিল্লায়। স্বামীর সাথে বিবাদ মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে কুমিল্লা থেকে তাকে ডেকে নগরে নিজের বাসায় আনে মনির হোসেন। শুক্রবার বিকেলে রোমেনা আসেন মনিরের বাসায়। শনিবার সকালে স্ত্রী গার্মেন্টসে কাজে গেলে ছুরি ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে রোমেনাকে।
`মামলার ঘটনা বর্ণনা দিয়ে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) শাহীনুল ইসলাম উইম্যানভয়েসবিডিকে বলেন, ভিকটিম নারী রোমেনাকে পরিকল্পিতভাবেই ধর্ষণ করা হয়েছে বলে ধারণা করছি। রোমেনা আগে নগরেই থাকতেন লালখানবাজার এলাকায়। স্বামীর সাথে ঝগড়ার জেরে ফিরে গিয়েছিলেন কুমিল্লায়। স্বামীর সাথে বিবাদ মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে কুমিল্লা থেকে তাকে ডেকে নগরে নিজের বাসায় আনে মনির হোসেন। শুক্রবার বিকেলে রোমেনা আসেন মনিরের বাসায়। শনিবার সকালে স্ত্রী গার্মেন্টসে কাজে গেলে ছুরি ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে রোমেনাকে।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) শাহীনুল ইসলাম আরও বলেন, শনিবার ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর আবারও মনিরের বাসায় গিয়েছিলেন ফেলে আসা বোরকা নিতে। সেখানে গেলে স্থানীয় আরও কয়েকজন বখাটে যুবক ভিকটিম রোমেনাকে মনিরের সাথে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। রোমেনা রাজি না হলে মারধর করে তার হাতে থাকা দুই হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয় মনির। ভিকটিমের তথ্যমতে মারধর করা মনিরের অন্য সহযোগীরা হল মুন্না, এমরান, মাসুদ, রাজু, দিদার, সোহেল এবং জাকির।
তিনি বলেন, ভিকটিম রোমেনা প্রতিবেশী এক নারীকে নিয়ে থানায় এসে মারধরের অভিযোগ করলেও ধর্ষণের বিষয়টি গোপন করেন। থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে সনদসহ থানায় আসার পরামর্শ দেন। হাসপাতালে যাওয়ার পর তিনি চিকিৎসককে ধর্ষণের ঘটনা জানান রোমেনা। পরে তাকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয় এবং হাসপাতাল থেকে তথ্য পেয়ে পুলিশ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করেছে।
মনিরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর অধীনে ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলা দায়ের হয়েছে
ওসি বলেন, মনিরসহ চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে। মনিরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর অধীনে ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া বাকি আরও ৭ জনের নামও মামলায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও একটি মামলা হচ্ছে বলেও আভাস দেন ওসি শাহীনুল।