বাবা মাকে না জানিয়ে ঘর থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন তরুণী লিমা। রাজধানীর দক্ষিণ মান্ডা এলাকায় দুই রুমের বাসা ভাড়া নিয়ে সাজিয়ে নিয়েছিলেন নিজের সংসার। মাদকাসক্ত স্বামী যৌতুক পেতে বারবার নির্যাতন করত। বাসা থেকে ভেসে আসা দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে হাত পা বাঁধা অবস্থায় ওই তরুণীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে।
২১ বছর বয়সী নিহত ওই তরুণীর নাম লিমা আক্তার (২১)। লিমা শরিয়তপুর জেলার পালং থানার আঙ্গারিয়া গ্রামের দ্বীন ইসলামের মেয়ে।
বুধবার (৪ নভেম্বর) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে লাশটি উদ্ধার করেছে ডিএমপির মুগদা থানা পুলিশ। লাশটির সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সন্দেহজনক দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
তরুণীর পরিবার জানায়, ‘কবি জসীম উদ্দীন রোডের ১১/২ নম্বর বাসায় তাদের পরিবারের সঙ্গে থাকত লিমা। গত জানুয়ারিতে পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্য করে সে এক লাখ টাকা নিয়ে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকে তার সাথে তেমন কোনো যোগাযোগ ছিল না। নিলয় নামের এক ছেলেকে ১৫-২০ দিন আগে বিয়ে করে লিমা। ওই এলাকার মানুষের কাছে শুনেছি, নিলয় মাদকাসক্ত ছিল। সে লিমাকে বিভিন্নভাবে টাকার জন্য চাপ দিত, নির্যাতন করত।’
এ বিষয়ে বেলা মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা বলেন, প্রতিবেশীর কাছে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যাকাণ্ড বলেই সন্দেহ করছি। মান্ডা এলাকার একটি বাসায় দুই রুম নিয়ে ভাড়া থাকতেন তরুণী। এক সপ্তাহ আগেই মৃত্যু ঘটেছে বলে ধারণা করছি। লাশের হাত পা ওড়না ও রশিতে বাঁধা ছিল।
পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, তরুণীর মা কমলাপুর এলাকাতে থাকেন। আর বাবা শরীয়তপুর গ্রামের বাড়িতে থাকেন। ১৫ দিন আগে সে একজনকে বিয়ে করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুটি হত্যাকাণ্ড কী না নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে ও ভিকটিমের পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান ওসি।