সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় বিয়ের ৫ মাস পর হাফেজ সাইমা খাতুনকে (১৮) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী তানজিম আহম্মেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ মার্চ) রাতে উপজেলার পারুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করছেন তানজিম আহম্মেদ। নিহত হাফেজ সাইমা খাতুন কালিগঞ্জ উপজেলার মৌখালী গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে।
নিহতের মা রাবেয়া খাতুন জানান, তার মেয়ে পারুলিয়া মহিলা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতেন। বিগত ৫ মাস আগে ওই মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি আব্দুস সবুর তার ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেন। এরপর উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়।
পরে আমরা জানতে পারি আমাদের দুই পরিবার তাবলিগের দুই গ্রুপের অনুসারী। তারা ওলামা দল এবং আমরা এতায়েত অনুসারী। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। যদিও বিষয়টি পরে সমাধান হয়ে যায়।
মেয়ের চাচা কবির হোসেন জানান, রাত ১২টার পরে ছেলের বাবা ফোন করে আমাদের মৃত্যুর বিষয়টি জানান। মৃত্যু কারণ জানতে চাইলে ডায়রিয়া রোগে মারা গেছে বলে জানানো হয়। আমরা ওই রাতে ছেলের বাড়িতে গেলে মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তার আগে স্থানীয় একজন জাতীয় পরিসেবা ৯৯৯ এ কল দেয়ায়, দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মাহমুদ হোসেন জানান, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা গ্রেফতার স্বামী স্বীকার করছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মা রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় মামলার দায়ের করেছেন। সময় নিউজ