‘গহনা বা আসবাব নয় ঐতিহ্য হিসেবে পাওয়া ফ্রুটকেক সংরক্ষিত হলো ১৪১ বছর’
সোনার হার কিংবা কোনও প্রকাণ্ড আসবাব, অথবা রান্নার রেসিপি হতে পারে পারিবারিক ঐতিহ্যের অংশ। বংশানুক্রমে পাওয়া পরিবারের প্রতীক কেউ কেউ আবার সংরক্ষণও করেন। কিন্তু কখনো গোটা একটা রান্না বা খাবার কেউ বংশানুক্রমিকভাবে পালাক্রমে সংরক্ষণ করে রেখেছেন—এমন কথা শুনেছেন? নিশ্চয়ই না। তবে এবারে শুনুন তবে!
সালটি ছিল ১৮৭৮। আমেরিকার মিশিগানে এক মহিলা বসবাস করতেন। তার নাম ফিডেলিয়া ফোর্ড। তার পরিবারে একটি প্রথা ছিল। বড়দিনে কেক বানালে তা খাওয়া হতো বানানোর ঠিক এক বছর পর। তিনি সে বছর একটি ফ্রুটকেক বানিয়েছিলেন। ৬৫ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু তার বানানো ওই কেকটি এখনও কেউ খাননি। এই বছর সেই কেকের বয়স হলো ১৪১ বছর। সেই কেকটি ঐ বাড়ির রান্নাঘরের একটি তাকে কাঁচের থালায় সযত্নে রাখা আছে। ২০১৩ সাল অবধি কেকটি ফিডেলিয়া ফোর্ডের নাতির ছেলে মর্গ্যান ফোর্ডের দায়িত্বে ছিল। অর্থাৎ টানা ৯৩ বছর। ২০১৩ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর তার মেয়ে জুলি রুট্টিন্গর তত্ত্বাবধায়ক হলেন বিখ্যাত ওই ফ্রুটকেকটির।
জুলি জানান, তার বাবা খুব গর্বিত ছিলেন বংশানুক্রমে পাওয়া এই ফ্রুটকেকটি নিয়ে। পরিবারের কোনও অনুষ্ঠানে বা চার্চে গেলে তিনি তা সবাইকে দেখাতেন।