মুখ্য চরিত্রে দীপিকা প্রশংসায় ভাসছেন
অ্যাসিড আক্রমণ থেকে বেঁচে ফিরে সংবাদ শিরোনামে আসা লক্ষ্মী আগরওয়ালের (লক্ষ্মী দীক্ষিত) কাহিনী নিয়ে সিনেমা তৈরি করেছেন পরিচালক মেঘনা গুলজার। যেখানে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। ইতোমধ্যেই দর্শকদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছে ছবির ২ মিনিট ১৯ সেকেন্ডের ট্রেইলার। ১০ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে ‘ছপাক’।
মুম্বাইয়ে এ সিনেমার ট্রেইলারের আনুষ্ঠানিক প্রকাশে এসে ছবি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন দীপিকা। বলেছিলেন, ‘এরকম খুব কম সময়েই হয়, যে কোনও একটা গল্প এত ভালভাবে মনে গেঁথে যায়। পরিচালকের সঙ্গে প্রথম কয়েক মিনিটের কথাতেই ছবিটা এতটাই প্রভাব ফেলে, যে তার জন্য নিজেকে পুরোপুরি ডেডিকেট করা যায়। ‘ছপাক’ আমার কাছে এমনই এক ছবি।’
লক্ষ্মী আগরওয়ালের ভূমিকায় অভিনয় করলেও এ সিনেমায় লক্ষ্মীর চরিত্রের নাম ‘মালতি’। এই চরিত্রকে ঠিকভাবে বোঝার জন্য আরও ১০জন অ্যাসিড আট্যাক সার্ভাইভারের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করেছিল টিম ‘ছপাক’। ছবিতে মালতীর সঙ্গী অমলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিক্রান্ত মসিহ।
পরিচালক মেঘনা জানিয়েছেন, ‘এই চরিত্রটি ঠিক প্রথাগত নায়কের চরিত্র ঘিরে নয়। ছবিতে ভিকরান্ত যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন সেটি একজন উত্তর ভারতীয় যুবকের চরিত্র। হিংসার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়েই তার সঙ্গে পরিচয় হয় মালতির।’
এদিকে এমন চরিত্রে অভিনয়ের জন্য দীপিকাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রণবীর সিং, ভিকি কৌশল, কিয়ারা আদবানি, আলিয়া ভাট, রাজকুনার রাও থেকে শুরু করে একঝাঁক মু্ম্বাই সিনেমার অনেক তারকা। আর মেঘনা জানিয়েছেন, ‘দীপিকার সঙ্গে কথা বলার আগে মনে হয়েছিল তিনি হয়ত এই ধরনের ছবি করতে চাইবেন না। কিন্তু না। দীপিকা এই ছবি করতে রাজি হয়েছেন সঙ্গে সঙ্গেই। এটা মোটেই রোমান্টিক ছবি নয়। অ্যাসিড ভায়োলেন্স এবং এক মহিলার সাহসের গল্প নিয়ে তৈরি এই ছবিতে একেবারে নতুন ভাবে দেখা যাবে দীপিকাকে।’
এই ছবি দিয়েই প্রযোজনায় এলেন দীপিকা। ফক্স স্টার ইন্ডিয়া ও দীপিকা পাড়ুকোনের যৌথ প্রযোজনায় এই ছবি মুক্তি পাবে ১০ জানুয়ারি।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মী আগরওয়াল (লক্ষ্মী দীক্ষিত, জন্ম ১ জুন, ১৯৯০) একজন ভারতীয় স্টপ অ্যাসিড অ্যাটাকের প্রচারক এবং এককন টিভি উপস্থাপিকা। তিনি অ্যাসিড হামলার শিকার একজন জীবিত নারী এবং অ্যাসিড আক্রমণে শিকারদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কথা বলা একজন সাহসী নারী।
তিনি তার ১৫ বছর বয়সে ৩২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি গদ্দা ওরফে নাঈম খান কর্তৃক অ্যাসিড আক্রমণের শিকার হন। তার গল্প হিন্দুস্তান টাইমস দ্বারা অ্যাসিড হামলায় শিকারদের একটি ধারাবাহিকের মাধ্যমে বলা হয়েছিল।
লক্ষ্মী অ্যাসিডের বিক্রি নিষিদ্ধ করতে প্রায় ২৭,০০০ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ করে ভারতীয় সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালত অ্যাসিড বিক্রি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে আদেশ দেয় এবং অ্যাসিড আক্রমণের বিরুদ্ধে মামলা করা আরো সহজ করে দেয়।
লক্ষ্মী যুক্তরাষ্ট্রে মিশেল ওবামার কাছ থেকে ‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার’ পেয়েছেন।
ডব্লিউভিবি/এসএস