ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালে। কক্সবাজারে রামুর গর্জনিয়ায় তৃতীয় শ্রেণির দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে যায় ধর্ষকরা। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করেছিল স্থানীয়রা। ওই ঘটনায় সারভাইভার শিশুর বাবা আদালতে মামলা দায়েরের দুই বছর পর ওই বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পেটে খুন্তি ঢুকিয়ে খুন করা হয় তাকে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৩ জানুয়ারি। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি, ২০২১) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। সারভাইভার ওই শিশুর বাবাকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ধর্ষণ মামলার আসামি জয়নাল আবেদিনের বড় ভাই মোহাম্মদ ইলিয়াছের বিরুদ্ধে।
নিহত ব্যক্তি রামুর গর্জনিয়ার গলাছিরা দোছরি এলাকার মরহুম কালাম বকসুর ছেলে।
ধর্ষণ মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী আমান উল্লাহ আমান জানান, বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে মুহাম্মদ ইউনুছকে ’জরুরি কাজের’ জন্য ডেকে বাড়ির উঠানেই পেটে খুন্তি ঢুকিয়ে মারাত্মক আহত করে ধর্ষণ মামলায় আসামি জয়নাল আবেদিনের বড় ভাই মোহাম্মদ ইলিয়াছ (৩৫)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে, পরে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট দুপুরে দুই বান্ধবী স্কুল থেকে ফেরার পথে দোছরি গলাছিরা কবিরার পাহাড় নামক স্থানে পৌঁছালে মোহাম্মদ শাহীন ও জয়নাল আবেদিন পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। স্থানীয়রা দুই বান্ধবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলে।
এ ঘটনায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিশুর বাবা ২৬ আগস্ট কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলার একমাত্র আসামি জয়নাল আবেদিন (২২) বর্তমানে কারাবন্দি। আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সিআইডি। তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা। ১৩ জানুয়ারি আদালতে বাদিপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।