বিয়ের কথা বলে কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩৫ বছর বয়সী বাবু চাকমা। ওই প্রেমের ছুঁতোয় তার সাথে দীর্ঘদিন শরীরী সম্পর্ক। এর কিছুই জানতেননা কিশোরীর বাবা-মা। সামাজিক শালিসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হলেও সেটিতে সায় ছিল না ছেলের পরিবারের। উল্টো তারা কিশোরীর পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় করে। শেষে এসে মামলা দায়ের করলেন সারভাইভার কিশোরীর মা।
ঘটনাটি ঘটেছে খাগড়াছড়ির জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায়। সারভাইভার কিশোরীর মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশ মামলায় অভিযুক্ত যুবক বাবু চাকমাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত বাবু চাকমা খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গিরিফুল এলাকার খুনজি লাল চাকমার ছেলে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, প্রথমে কিশোরীকে উত্যক্ত করত বাবু চাকমা। প্রেমের টোপ একসময় কাজে দেয়। ফাঁদে পড়ে কিশোরী তার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিয়ের প্রলোভন ও ভালোবাসার দোহাই দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে বাবু চাকমা। সিঙ্গিনালার ওই কিশোরী যখন বিয়ে করতে বলে তখন সে অস্বীকার করে। এরপর ঘটনাটি কিশোরীর পরিবার জানলে পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা চালায়।
এ নিয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর সামাজিক সালিশে ধর্ষণের শিকার হওয়া বালিকা মেয়েটিকেই দায়ী করা হয় এবং মেয়ের পরিবারকে ১১০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
শালিসে হেয় প্রতিপন্ন হয়ে সোমবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন সারভাইভার কিশোরীর মা। মামলা দায়ের হওয়ার পরই মঙ্গলবার দুপুরে আসামি বাবু চাকমাকে গ্রেপ্তার করে খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ উইম্যানভয়েসবিডিকে বলেন, মামলা দায়েরের পরই আমরা তাকে অভিযান চালিয়ে আটক করি। আটকের পর তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছি।