আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন আর নেই। তিনি ছিলেন এ দেশের প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত বামুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সাহারা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
গত সোমবার (৬ জুলাই) সকালে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে উন্নত চিকিসার জন্য তাঁকে ব্যংককে নেওয়া হয়। একইদিন বিকেল ৪টার দিকে সেখানে তাকে ব্যংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে গত ২ জুন জ্বর, অ্যালার্জি ও বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি দীর্ঘদিন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আইসিইউতেও ছিলেন কিছুদিন। শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলে গত ২৪ জুন মেডিকেল বোর্ড জানায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সাহারা খাতুনকে বিদেশ নেওয়া যেতে পারে। এরপর ৬ জুলাই তাকে ব্যংককের বামুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৪৩ সালের ১ মার্চ সাহারা খাতুন ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা আব্দুল আজিজ ও মা টুরজান নেসা। সাহারা খাতুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম একনিষ্ঠ ও পরিক্ষিত রাজনীতিবিদ। তিনিই ছিলেন দেশের প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গত তিন মেয়াদে ঢাকা-১৮ আসন থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে মহাজোট ক্ষমতায় এলে প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয় ও পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
এসএস