করোনার ধাক্কা সামলাতে পারলেন না সুর সাম্রা্জ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। করোনামুক্ত হলেও কোডিভ পরবর্তী জটিলতা কেড়ে নিলো তাঁর প্রাণ। কোভিডের সাথে ২৮দিনের লড়াইয়ে ইতি টেনে প্রয়াত হলেন ৯২ বছর বয়সী লতা মঙ্গেশকর।
আজ রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২) সকাল ৮.১২ মিনিটে সুর থামল দুই বাংলার। চিরঘুমে চলে গেলেন সুরসম্রাজ্ঞী। জানুয়ারি মাসের শুরুতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন লতা মঙ্গেশকর। করোনার সঙ্গে দোসর হয়ে লতা মঙ্গেশকরের শরীরে বাসা বাঁধে নিউমোনিয়া। গায়িকার বয়স ভাবাচ্ছিল চিকিত্সকদের। তাই তড়িঘড়ি তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়। করোনাকে হারিয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন ভারতের কোকিলকন্ঠী। কিন্তু শেষরক্ষা হল না!
ভারতের গণমাধ্যম জানিয়েছে লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এন সান্থানাম। কোভিড পরবর্তী জটিলতার জেরেই মৃত্যু হল লতা মঙ্গেশকরের। জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিত্সক প্রতীত সামধানি জানান, ‘মাল্টি অর্গান ফেইলিউরের জেরেই মৃত্যু হল লতা মঙ্গেশকরের, কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২৮ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
তিনি হাজারেরও অধিক ভারতীয় চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার গাওয়া মোট গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। এছাড়া ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষাতে ও বিদেশি ভাষায় গান গাওয়ার একমাত্র রেকর্ডটি তারই।
১৯৮৯ সালে ভারত সরকার তাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত করে। তার অবদানের জন্য ২০০১ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা ভারতরত্নে ভূষিত করা হয়; এম. এস. সুব্বুলক্ষ্মীর পর এই পদক পাওয়া তিনিই দ্বিতীয় সঙ্গীতশিল্পী। ২০০৭ সালে ফ্রান্স সরকার তাকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা লেজিওঁ দনরের অফিসার খেতাবে ভূষিত করে।
পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে লতা সর্বজ্যেষ্ঠ। তার বাকি ভাইবোনেরা হলেন – আশা ভোঁসলে, ঊষা মঙ্গেশকর, মীনা মঙ্গেশকর ও হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর।