যৌতুকের পাঁচ হাজার টাকা কম তাই বিয়ের পিঁড়িতে বসেনি পাত্র। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বোয়ালখালী উপজেলার মেধস মুনির আশ্রমে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে পাত্রপক্ষ। পরে পুলিশ উপস্থিত হলে বর বিয়েতে রাজি হয়ে গেলেও কনে এমন পুরুষকে বিয়ে করতে একেবারেই নারাজ।
পাত্র জিকু শীল ও পাত্রের বাবা বাবুল শীল ও বিয়ের ঘটক মদন শীলকে আটক করেছে বোয়ালখালী থানা পুলিশ।
জানা গেছে, চন্দনাইশ উপজেলার এক দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সাথে বোয়ালখালী উপজেলার কড়লডেঙ্গা ইউনিয়নের উত্তরভূর্ষি গ্রামের বাবুল শীলের ছেলে জিকু শীলের বিয়ের কথা পাকাপাকি হয়। তবে ছেলের দাবিকৃত নগদ টাকার মধ্যে ৫ হাজার টাকা কনেপক্ষ দিতে অপারগতা জানালে বিয়ের পিঁড়িতেই বসেনি ছেলে। পাত্র জিকু স্থানীয় সেলুন কর্মচারী।
কনের মা বলেন, পাত্রপক্ষের দাবি ছিলো নগদ ৬০ হাজার টাকা ও ১ ভরি স্বর্ণালংকার এবং মন্দিরে বিয়ের লআয়োজন ছিল।এছাড়াও কথা ছিল ছেলের ঘর ফার্নিচার দিয়ে সাজিয়ে দেব।
ছেলের দাবি অনুসারে ধার্য তারিখ বৃহস্পতিবার মেধস আশ্রমে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বাকি সবকিছু দিলেও নগদ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ৫ হাজার টাকা কম থাকায় পাত্র বিয়ের পিঁড়িতে বসতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে দেন দরবারে পরপর তিনটি লগ্ন পেরিয়ে যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
থানা পুলিশ পাত্রসহ তিনজনকে আটক করার পর তারা এ বিয়েতে রাজি হলেও কনে আর এ বিয়েতে রাজি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কনেপক্ষ।
কনে বলেছেন, পাত্রপক্ষ চাপে পড়ে রাজি হলেও পরবর্তীতে সমস্যার সৃষ্টি হবে। মাত্র ৫ হাজার টাকার জন্য যে বিয়ে করেনি, তাকে কার ভরসায় বিয়ে করব।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আবদুল করিম বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।