উখিয়ায় কাজি ডেকে কাবিন করে বিয়ের কথা বলে ডেকে এনে তরুণীকে ধর্ষণ করে পুলিশের এক কনস্টেবল। ঘটনা জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে মেয়েটি ফোন করে অভিযোগ করেন। তার প্রতিক্রিয়ায় থানায় দায়িত্বে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যদের সাহায্য নিয়ে ওই তরুণীকে আটকে রেখে চালানো হয় অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন।
বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ওই কনস্টেবল সুমন ও ওসি মর্জিনাসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করলেন ওই তরুণী।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, তৎকালীন উখিয়া থানার কনস্টেবল মো. সুমনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। কাজি ডেকে বিয়ের কাবিন করার কথা বলে গত ৭ জুলাই বেলা দুইটার দিকে খুনিয়াপালং চেকপোস্ট সংলগ্ন নিজের কক্ষে ডেকে আনে সুমন । কাজি আসার অপেক্ষা করছে বলে কিছুক্ষণ বসিয়ে রেখে ধর্ষণ করে তরুণীকে। এরপর চেকপোস্টের পাশের একটি দোকানে বসিয়ে রেখে জরুরি কাজের বাহানা দিয়ে পালিয়ে যায় সুমন। পরে রাত ১১টার দিকে বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ফোনে জানান ভিকটিম রিয়াদ সোলতানা নুরী।
এরপর থানায় ডেকে নেওয়া হয় তরুণীকে। নোংরা ভাষায় গালি দিয়ে তরুণীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেন ওসি মর্জিনা। এরপর অভিযুক্ত অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় কক্ষে আটকে রেখে পেটানো হয় ভিকটিম তরুণীকে। এমনকি পায়ে রশি ও পরনের হিজাব দিয়ে চোখ বেঁধে একটি কক্ষে রাখে বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ আছে। মামলার আরজির সঙ্গে নির্যাতনের কিছু স্থিরচিত্র প্রাথমিক প্রমাণ হিসেবে যুক্ত করেছেন মামলার বাদি ওই তরুণী।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) এডভোকেট একরামুল হুদা।