ধরুন এ পৃথিবী জুড়ে করোনা ছাড়াও একটি মহামারি আছে যা প্রায় ১৪ লাখ নারীর জীবনকে আক্রান্ত করেছে এবং সেটি বাড়ছে আর বাড়ছে। এবার ভাবুন ওই মহামারিটি যুদ্ধ ও সন্ত্রাসবাদের তুলনায় ২৫ গুণ বেশি আর্থিক ক্ষতি করেছে। ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ালো ৪.৪ ট্রিলিয়ন ডলার। এটি বৈশ্বিক জিডিপির ৫.২ শতাংশ। ভাবুনতো মহামারিটি প্রতিরোধের কৌশল না থাকা ও চিকিত্সা না থাকায় প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে ৫০ হাজারেরও বেশি নারী আক্রান্ত হচ্ছে। ওই মহামারিতে বিশ্বে প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে ১৩৭ জন নারীর। সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়া করোনাভাইরাসের চেয়েও এ লিঙ্গভিত্তিক মহামারিটি আরও গভীর ও ভয়ংকর। ওই মহামারিটির নাম হল পারিবারিক সহিংসতা বা ঘরোয়া নির্যাতন।
জানেন কী? কোভিড-১৯ এর ঘরে বন্দি থাকা সময়গুলোতে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে ৩০ শতাংশ এবং এর ভয়াবহতা বেড়েছে অনেক বেশি। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা নারীর পারিবারিক জীবনে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। ফ্রান্স থেকে ইরান, জার্মানি থেকে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত থেকে চীন পর্যন্ত ‘বাড়িতে থাকুন’ কথাটি মানে যেন ‘গালি’ নারীর উপর আরও ‘নিয়ন্ত্রণ’ ও ‘সহিংসতা’ এবং বিচ্ছিন্নতা।
২০২০ সালের মার্চ মাসের শেষের দিকে সারাবিশ্বে ১০০টিরও বেশি দেশ একটি সম্পূর্ণ বা আংশিক লকডাউন প্রতিষ্ঠা করেছে যা কোটি কোটি মানুষের জীবনের উপর প্রভাব ফেলেছে।
‘সামাজিক দূরত্ব’ এবং ‘বাড়িতে থাকার নির্দেশনা’ বিশ্বের অনেক নারীকে যেন একটি অবমাননাকর জায়গায় এনে যেন তালাবদ্ধ করে দিয়েছে। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল গুতেরেস গত ৫ এপ্রিল বলেছিলেন, ‘অনেক নারীর জন্য হুমকি সেখানেই সবচেয়ে বড় যেখানে তাদের নিরাপদ থাকা উচিত ছিল। সেটা তাদের নিজেদেরই বাড়ি। আমি সকল দেশের সরকারকে নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য তাদের কোভিড-১৯-এর জাতীয় প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনার মূল অংশ হিসাবে গড়ে তুলতে অনুরোধ করছি। ’ তিনি যোগ করেন, ‘সহিংসতা শুধু যুদ্ধের ময়দানেই সীমাবদ্ধ নয়’।
গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সহিংসতা এবং বৈষম্যের প্রতিবাদে কয়েক লাখ নারী বিশ্বের বৃহৎ এবং ছোট শহরগুলোর রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছিল। মেক্সিকো সিটিতে খুন হওয়া নারীর মায়েরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছিলেন। এছাড়াও কিরজিস্তান ও তুরস্ক ছাড়াও ফিলিপিন্স ও জাকার্তায় নারীরা বিক্ষোভ করেছে। ইরানের তেহরানের রাস্তায় ভিকটিম নারীদের গ্রাফিতি পেশ করে বিক্ষোভে থাকা নারীরা ঘোষণা করেছেন ‘যথেষ্ট যথেষ্ট’ হয়েছে আর নয়। ওইসময় তারা সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের দাবিও জানায়।
জাতিসংঘ নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতাকে সংজ্ঞা দিয়েছে এভাবে, ‘ যে কোনও কাজ, যার ফলশ্রুতিতে শারীরিক, যৌন, বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে বা নারীর ক্ষতি হতে পারে এমন ধরনের কাজ বা নির্যাতনের হুমকি বা স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া, সেটা জনসাধারণের মধ্যেই হোক বা ব্যক্তিগত জীবনে— সেটাই লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা। এছাড়াও একান্ত মানুষের (স্বামী/বয়ফ্রেন্ড) সহিংসতা যা বর্তমান সামাজিক বিচ্ছিন্নতায় আরও তীব্র হয়েছে। একান্ত মানুষটি বা প্রাক্তনের দ্বারা শারীরিক আগ্রাসন, যৌন জবরদস্তি, মানসিক নির্যাতন এবং আচরণ নিয়ন্ত্রণ করাসহ শারীরিক, যৌন বা মানসিক ক্ষতির কারণ হয়।
২০২০ সালের মার্চ মাসে, উইম্যান অ্যান্ড দ্যা এডাপশন অফ দ্য বেইজিং ডিক্লারেশন অ্যান্ড প্লাটফর্ম ফর অ্যাকশন (১৯৯৫) চতুর্থ বিশ্ব সম্মেলনের ২৫তম বার্ষিকী ও দুই সপ্তাহের জন্য বেইজিং ঘোষণাপত্র এবং কাজের প্ল্যাটফর্ম গ্রহণ করার কথা ছিল। সিক্সটি ফোর্থ কমিশন অন দ্যা স্টেটাস অফ উইম্যান (সিএসডব্লিউ) নারীর বর্তমান চ্যালেঞ্জ মূল্যায়নের জন্য ১৫ হাজারেরও বেশি নারীকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে সিএসডব্লিউ কেবলমাত্র নিউইয়র্কভিত্তিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত অধিবেশন করে। যদিও এই অধিবেশনটির প্রস্তুতির জন্য জন্য বেশ কিছু নাগরিক সমাজ সংগঠন দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেন। তারাই তারা ২৫ বছর আগের ‘বেইজিং প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশন (বিপিএফএ)’তে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি ব্যর্থ হওয়ার কারণ নিয়ে অনুসন্ধান করেছে ও তাদের চিহ্নিত করেছে।
বেইজিং ডিক্লারেশন অ্যান্ড প্লাটফর্ম ফর অ্যাকশনের (বিপিএফএ) ১২টি উদ্যোগের অন্যতম বিষয় ছিল নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা। এ সময় স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর সরকার কথা দিয়েছিল নারীর প্রতি সহিংসতা দূর করতে ‘ঘোষণাপত্রে’ নির্ধারিত বিষয়ের প্রতি তাদের বাধ্যবাধকতা এড়াতে যে কোনও রীতিনীতি, এতিহ্য বা ধর্মীয় বিবেচনা থেকে বিরত থাকবে। বাড়িতে, কর্মক্ষেত্রে বা সমাজে যে কোনও ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়া নারীর প্রতি অপরাধের শাস্তি ও প্রতিকারের জন্য আইন তৈরি, শাস্তি ও প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞাকে আরও জোরদার করবে। তবে বেইজিং ঘোষণা এবং প্লাটফর্ম ফর অ্যাকশনের ২৫ বছর পার হল। ১৮৯ টি দেশের সম্মতিতে সেটি গৃহীত হয়েছে। অথচ ৬৩০ মিলিয়ন নারী এমন দেশে বাস করেন যেখানে ‘ঘরোয়া সহিংসতা’ অপরাধ হিসাবেই বিবেচিত হয় না।
পারিবারিক সহিংসতা প্রসঙ্গে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৪ জন নারীর মধ্যে ১ জন এবং ৭ জনের মধ্যে ১ জন তাদের জীবনকালীন সময়ে একান্ত মানুষটির (স্বামী/ প্রেমিক) দ্বারা শারীরিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। ৩০-৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্বামী বা প্রেমিকের দ্বারা পরিবারের শিশুরাও নির্যাতনের শিকার হয়। দ্যা ভায়োলেন্স অ্যাগেইন্সট উইম্যান অ্যক্ট, ১৯৯৪ যুক্তরোষ্ট্রের একটি যুগান্তকারী আইন। ‘ঘরোয়া সহিংসতা’ নিয়ে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়ে আইনটি ১৯৯৯, ২০০৪, ২০০৯ এরপর ২০১৪ তে এসে পুনরায় অনুমোদন পেল তবে ২০১৯ থেকেই এটি সিনেটের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
দ্য ভায়োলেন্স অ্যাগেইন্সট উইম্যান অ্যক্ট, ১৯৯৪ এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন বিরোধিতা করছে কারণ এতে কিছু ব্যবস্থা আছে যা ঘরোয়া সহিংসতার দায়ে অভিযুক্ত এবং দোষী ব্যক্তিদের বন্দুকের নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করবে। সেটি পার্লামেন্ট হাউজে পাশ হয়েছে এবং এখন সিনেটে অনুমোদনের লড়াইয়ের মুখোমুখি। আইনের বিধানগুলোতে দেখা যায়, বন্দুকের মালিক হওয়া এখানে খুব জটিল হবে ও সেইসাথে নারীর সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে দোষী ব্যক্তিদের জন্য বন্দুক কেনা অবৈধ করে তুলবে। আইনটি ফেডারেল আইনের আওতাধীন ও পারিবারিক সহিংসতার সংজ্ঞায় ডেটিং পার্টনারকেও যুক্ত করে তথাকথিত ‘বয়ফ্রেন্ড লুপহোল’ বন্ধ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রে পুরুষের সহজ ‘পিস্তল অ্যাক্সেস’ নারীর জন্য ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ। যদি প্রেমিক/বন্ধু/স্বামী বন্দুকের মালিক হয় তবে নারীরা মারা যাওয়ার সম্ভাবনা পাঁচগুণ বেশি। এ ধরনের বিপদ সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র সহিংসতা মানে শুধু শারীরিক নির্যাতন, বলপ্রয়োগ বা জবরদস্তি ও মানসিক ক্ষতি বা ম্যানিপুলেশনকে একেবারে বাদ দিয়ে ঘরোয়া সহিংসতার সংজ্ঞায় পানি ঢেলে দিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স হটলাইন জানায়, ‘বেশিরভাগ কল করা নারীরা বলেছেন যে সম্ভাব্য নির্যাতকরা নারীদের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার থেকে আরও বিচ্ছিন্ন করতে জন্য কোভিড-১৯ কে ব্যবহার করছে। সামাজিক দূরত্বের অজুহাতে নারীকে তাদের পরিবার ও বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখতে দেওয়া হয়নি। এক সাক্ষাত্কারে ন্যাশনাল ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স হটলাইনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেটি রে-জোনস বলেছেন, ‘নির্যাতকরা ভিকটিমদের রাস্তায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে যাতে তারা অসুস্থ হয়ে যায়। ’
করোনায় বিশেষত ইংল্যান্ড বন্ধ হওয়ার পর বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা (এনজিও) অনলাইনে সহায়তা দিচ্ছে। নারীর নিয়োগকারী, ব্যাংক কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রতিবেশীদেরকে অতিরিক্ত সচেতন হতে বলে তারা বলেছেন, ‘মুদি ব্যাগে ফেলে দেওয়া একটি নোট একজন নারীর জন্য লাইফলাইন হতে পারে যদি সে নির্যাতক সঙ্গীর সাথে আটকা পড়ে থাকে। স্পেনের ক্যানারি দ্বীপে খুব দূর থেকে এক নারী চিৎকার করে ডেকে মাস্ক চান। সেটি শুনেছিলেন এক ফার্মাসিস্ট। ওই ডাক ছিল আসলে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে কল করার একটি কোড। ওই ফার্মাসিস্ট নির্যাতনের শিকার ওই নারীর কোড বুঝেছিলেন। চীনে বেইজিংভিত্তিক একটি এনজিও ‘ইক্যুয়ালিটি’ নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার সাথে লড়াই করতে নিবেদিত। তারা ২০২০ এর ফেব্রুয়ারির প্রথম থেকেই ‘হেল্পলাইনে কল’ এর ব্যবস্থা করেছিল। তারা নির্যাতিত নারদের সাহায্যে এতটাই নিবেদিত যে হুবেই প্রদেশের শহরগুলো যখন তালাবদ্ধ ছিল তখনও তারা কাজ করেছে। জার্মানিতে কিছু আবাসিক হোটেল বরাদ্দ রাখা হয়েছে সহিংসতার শিকার হওয়া নারীদের আশ্রয়ের জন্য ।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রকে এ সময় মানুষের বাড়ির ভিতরে থাকতে হবে, স্কুল বন্ধ থাকা অবস্থায় শিশু নির্যাতনের পরিমাণও বাড়বে।’ অন্যদিকে ইরানে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ বলছে, ‘ঘরোয়া সহিংসতার শিকার হয়ে সাহায্য চাওয়া নারীর সংখ্যা ৩০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।’
অরুন্ধতী রায় বলেছেন, ‘যাই হোক না কেন করোনাভাইরাস তার শক্তিশালী হাঁটু দিয়ে গেড়ে বসেছে এবং বিশ্বকে থামিয়ে দিয়েছে যেন আর কিছুই করার নেই। মন এখনও উড়ছে, ‘স্বাভাবিকতা’ ফিরে আসার প্রত্যাশায়, অতীতকে আমরা ভবিষ্যত দিয়ে সেলাই করছি যেন ফাটলকে স্বীকার করতে অস্বীকার করছি। কিন্তু ‘ফাটল’ আছে। এই ভয়াবহ হতাশার মাঝেও এটি সুযোগ দিচ্ছে যেন আমার নিজেদের বানানো ‘কেয়ামত মেশিন’ নিয়ে আবারও ভাবি। আমি বলব স্বাভাবিকতায় ফিরে আসার চেয়ে খারাপ আর কিছু হতে পারে না। ঐতিহাসিকভাবে মহামারি মানুষকে অতীত ভেঙ্গে বিশ্বকে নতুনভাবে কল্পনা করতে বাধ্য করেছে। এটিও আলাদা নয়। মহামারিটি হল বর্তমানের বিশ্ব এবং পরের বিশ্বের মধ্যকার একটি পোর্টাল বা প্রবেশদ্বার। আমরা আমাদের পূর্বসংস্কার এবং বিদ্বেষ, আমাদের মনের যাবতীয় ডেটা ব্যাংক এবং সব মৃত ধারণাকে ধোঁয়াটে ওই আকাশের পিছনে ফেলে আসতে পারি। আমরা বেছে নিতে পারি। আমরা নতুন পৃথিবীর পথে সামান্য লাগেজ নিয়ে হালকা হয়ে চলতে পারি। আমরা এখন অন্য একটি পৃথিবীর কল্পনা করতে প্রস্তুত এবং এর জন্য লড়াই করতেও প্রস্তুত। ’
পারিবারে নারীর প্রতি সহিংসতা এমন একটি চ্যালেঞ্জ। কোভিড-১৯ এর মতোই এটিও বৈশ্বিকভাবে সমাধানের দাবি রাখে। বিভিন্ন দেশের সরকার ও নীতি-নির্ধারকদের রাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে পরিবারগুলোতে শান্তি রক্ষার কাজ করতে হবে। এছাড়াও মানবাধিকার ও নারী সংগঠন, শিক্ষাবিদ এবং অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি মানুষ যেন ঘরে ঘরে গিয়ে নারীর জন্য শান্তির ও সক্ষম বিশ্ব গড়ায় ভূমিকা রাখে। তবে টেকসই একটা অবস্থা তৈরি করতে হলে সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভিকটিম নারীদের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে।
আসুন আমরা আরও একটি ‘শান্তি সক্ষম’ বিশ্ব কল্পনা করি, আসুন এমন একটি বিশ্ব কল্পনা করি যা নারীর মানবাধিকার এবং মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। আসুন আমরা একটি বিশ্বকে আরও ন্যায়সঙ্গত এবং পুরো মানব জাতির জন্য কল্পনা করি!
এলাহী আমানি মেডিয়েটরস বিয়োন্ড বর্ডার ইন্টারন্যাশনাল (এমবিবিআই) এর সদস্য ও কন্সালটেন্ট। তিনি ১১ বছর ধরে এমবিবিআইয়ের ট্রেনিং ফ্যকাল্টির সাথে জড়িত রয়েছেন। এছাড়াও তিনি গ্লোবাল সার্কেলস অফ উইম্যানস ইন্টারকালচারাল নেটওয়ার্কের প্রধান।
অনুবাদ- উইম্যান ভয়েস ডেস্ক থেকে সৈয়দা সাজিয়া আফরিন